আ. লীগ একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে প্রমাণ হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে সেটা প্রমাণ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামী লীগের কৌশল হলো বিরোধী দলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না। আর তারা তাদেরটা করতেই থাকবে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন যন্ত্রকে ব্যবহার করবে।'
১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ও যুগপৎ আন্দেলনে কর্মসূচি নিয়ে আজ রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও ১২ দলীয় জোটের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি'র ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীতে অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জনসভায় নেতাকর্মীদের যাতায়াতের জন্য ৭টি বিশেষ ট্রেন রাখা হয়েছে, এ বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন—গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, 'জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের চরিত্র এবং কর্মকাণ্ড স্পষ্ট হয়ে গেছে। তারা যে এ দেশে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিচ্ছে সেই এতে প্রমাণিত হয়।'
তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ সব সময় ডাবল স্ট্যান্ডার্ড প্লে করে। তারা মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা। আওয়ামী লীগ আজকে এই দেশে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতি করেছে তা হলো, এই দেশের যে চরিত্র; বহুদলীয় গণতন্ত্র, বহুমার্তৃক বিষয়টা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, এখন বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংকট হলো নির্বাচনী ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ব্যবস্থা।'
'আজকে আওয়ামী লীগ জোর করে নির্বাচনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে তার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা জাতিকে একটি অশান্তিকর অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ দেশের মানুষ জানে না কীভাবে নির্বাচন হবে। মানুষ জানে না সে তার ভোটটা দিতে পারবে কি পারবে না। তারা অতীতে যে কাজগুলো করেছে তাতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না এবং দলীয় সরকারের অধীনে এখানে কোনোদিন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয় না,' বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আওয়ামী লীগ আমাদের কর্মসূচির সময় ৩ দিন আগে থেকে জোর করে ধর্মঘট করিয়েছে। পুলিশ নামিয়ে দিয়ে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে মোবাইল ফোন পর্যন্ত চেক করেছে। ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশের আগে ১৫ দিন তারা বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। সেই অভিযান হলো তাদের ভাষায় মাদকদ্রব্য-বেআইনি জিনিস প্রতিরোধ করার জন্য হোটেল-রেস্তোরাঁ-ছাত্রাবাসে রেইড করে হাজার হাজার ছেলে-মেয়েদের ধরে নিয়ে গেছে। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কৌশল, বিরোধী দলকে তারা কর্মসূচি করতে দেবে না। আর তারা তাদেরটা করতেই থাকবে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন যন্ত্রকে ব্যবহার করবে।'
Comments