জাজিরায় আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১০

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২২ রাউন্ড গুলি ও ৭টি টিয়ার শেল ছুড়েছে
জাজিরায় আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ-ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১০
সংঘর্ষের সময় শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিলাসপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিলাসপুরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। তার নাম সজিব (২২)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২২ রাউন্ড গুলি ও ৭টি টিয়ার শেল ছুড়েছে।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আজ সকালে পূর্বশত্রুতার জের ধরে বিলাসপুর ইউনিয়নে ২ গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা দেশীয় অস্ত্র ও হাত বোমা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি, কীর্তিনাশা নদীর পাড়, বুধাইর হাট, মহড় খার কান্দি এবং সাবেক সংসদ সদস্য বি এম মোজাম্মেল ভুঁইয়ার বাড়ির এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় আমরা এক জনকে আটক করেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২২ রাউন্ড গুলি ও ৭টি টিয়ার শেল ছুড়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ না করলে, আমরা নিয়মিত মামলা দায়ের করব।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্যকে বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিলাশপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাজিরা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। যা গত বছরের জুনে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের পর আরও বৃদ্ধি পায়। আজ ২ গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। বাকিরা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে বিলাশপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, 'সকালে হঠাৎ আব্দুল জলিল মাদবরের সমর্থকরা আমার বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালায়। আমার লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করে এবং আমি তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করি।'

তিনি আরও বলেন, 'মারামারিতে আমার ন্যূনতম কোনো লাভ থাকলে আমি করতাম। কিন্তু আমার এতে কোনো লাভই নেই। সুতরাং কেনইবা আমি সংঘর্ষে জড়াবো।'

সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জলিল মাদবর বলেন, 'নির্বাচনের পর থেকেই আমার সমর্থকদের বাড়িতে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে থাকলেও বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়াসহ প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার একইভাবে হামলা চালালে আমার লোকজনও জবাব দিতে বাধ্য হয়।'

Comments