বর্তমান কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার যোগ্যতা রাখে না: গয়েশ্বর

‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের ফরমায়েশ পালন করে’ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এ কমিশন সু্ষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার যোগ্যতা রাখে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত

'বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের ফরমায়েশ পালন করে' মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এ কমিশন সু্ষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার যোগ্যতা রাখে না।

শনিবার বিকেলে শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার যোগ্যতা রাখে না। বর্তমান সরকারের ফরমায়েশ পালন করতে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার ও সরকারপ্রধান পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করলে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি একটাই, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চাই৷ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের প্রথম অন্তরায় বর্তমান সরকার ও সরকারপ্রধান৷ তাই তাদের পদত্যাগ করতে হবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, নির্বাচন ঘোষণার পর পার্লামেন্ট বলবৎ থাকে না৷ যদিও ২০১৮ সালে পার্লামেন্ট বলবৎ রেখে নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ৷ আসন শূন্য না হলে সে আসনে কখনও নির্বাচন হয় না। তাই অবৈধ পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করতে হবে।

'শেখ হাসিনার চিন্তার ফসল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আপনি কেন বাতিল করলেন, এ জবাব আপনাকে দিতে হবে,' যোগ করেন গয়েশ্বর।

তিনি আরও বলেন, '২০০৮ সালে নয়-ছয় করে জিতেছেন। ২০১৪ সালে তো ভোটের আগেই ১৫৩ আসনে বিনা ভোটে জয়লাভ করেছেন। ফলে বাকি আসনে নির্বাচন হলো কী হলো না সেটা বিষয় না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতেই শেষ করে দিলেন।'

তিনি বলেন, 'পুলিশের কে কতো ভোট দিতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় নামল। মরা মানুষ, প্রবাসী মানুষও ভোট দিয়েছে। মানুষ মশকরা করে বলল, "কবর থেকে ভোট দিতে আইলো, আমরা দেখতে পারলাম না। শেষ দেখা যদি দেখতাম।" এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভোটের নমুনা। তারা জনগণের সাথে মশকরা করেন। জনগণের সাথে মশকরা করা সাংবিধানিক অপরাধ।'

গয়েশ্বর বলেন, 'বিএনপির পদযাত্রাকে যদি ভয় পান, তাহলে এত হৈ-চৈ করেন কেন? এটা কোনো বিক্ষোভ মিছিল না, নীরব পদযাত্রা। এটাকেও ভয় পায় আওয়ামী লীগ।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্যসচিব আবু ইউসুফ খান প্রমুখ।

Comments