আবেদনের পর খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার

খালেদা জিয়া
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ফটো

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার মেয়াদ বাড়ানো হবে কী না, সে বিষয়ে আবেদনপত্র পাওয়ার পর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) আইন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ডিজিটাল কেস ট্র্যাফিকিং সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আগের ২ শর্তে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাসের জন্য বাড়ায় সরকার।

সে দিনই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে ১টি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখিত ২ শর্ত হল, খালেদা জিয়া নিজ বাসভবনে থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী ২ মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিতের আদেশের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করে তার পরিবার।

সে সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

তিনি এমন সময় কারাগার থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন যখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ করোনাভাইরাস মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছিল।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার অপর একটি বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে। আদালত তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।

খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানের বাসায় রয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
asif nazrul election statement

'We will leave in February'

'We're determined to hold the election in February,' says Asif Nazrul

3h ago