বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি, ইসিতে যুবলীগের স্মারকলিপি

‘বিএনপির রাজনীতি যতদিন থাকবে, দেশে সন্ত্রাসের রাজনীতিও ততদিন থাকবে।’
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে স্মারকলিপি জমা দিচ্ছেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে আওয়ামী যুবলীগ।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে এ স্মারকলিপি জমা দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বরাবর এই স্মারকলিপি লিখেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগ।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, '১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারই উত্তরসূরিরা তারেক রহমান ও তার মায়ের নেতৃত্বে যে সংগঠন পরিচালিত করছে, সেই সংগঠন বাংলাদেশে হরতাল-অবরোধের নামে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে, তখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারো সন্ত্রাস হচ্ছে। তারেক রহমানের নির্দেশেই নৈরাজ্য হচ্ছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব  কায়েম করতে চায় বিএনপি। সহিংসতা করে বিদেশিদের বার্তা দিতে চায়, বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র।'

জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের পাশাপাশি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানিয়েছে যুবলীগ।

নিখিল বলেন, 'বিএনপির রাজনীতি যতদিন থাকবে, দেশে সন্ত্রাসের রাজনীতিও ততদিন থাকবে।'

'তারেক রহমান একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাকে ফিরিয়ে এনে মহামান্য আদালত যে রায় দিয়েছেন, সেটা কার্যকর করা হোক।  বিএনপির রাজনীতি যতদিন থাকবে, ততদিন তারা দেশ ধ্বংসের চক্রান্ত করবে, ততদিনই তারা হত্যা, পেট্রোল বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করতেই থাকবে। তাই দেশের যুব সমাজ, ছাত্র সমাজ এবং সর্বস্তরের জনগণ মনে করে, এই সংগঠনের বিচরণ বেশি দিন বাংলার মাটিতে থাকা উচিৎ নয়। তাই আমরা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি করছি এবং সেই সঙ্গে বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Will anyone take responsibility for traffic deaths?

The Eid festivities in April marked a grim milestone with a record number of road traffic accidents and casualties.

8h ago