নির্বাচন সামগ্রীর চাহিদা-মজুদ যাচাই চলছে, প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় সময় লাগবে ৩-৪ মাস

নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি সচিব। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কাগজ কেনাকেটা ও মুদ্রণকাজ আগামী চার মাসের মধ্যে শেষ করার প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইসির প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

বৈঠকে সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন সামগ্রী ছাপাতে কী পরিমাণ কাগজ লাগবে, বাজেট কত হতে পারে এবং কেনাকাটা থেকে মুদ্রণে কত সময় লাগবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।

ইসি সচিব জানান, নির্বাচন প্রস্তুতি যেন পিছিয়ে না পরে সেজন্য কাজগুলো গুছিয়ে রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'মূলত পেপার প্রকিউরমেন্ট থেকে প্রিন্টিং পর্যন্ত সময়সীমা কতটুকু লাগে। তারা বলেছেন যে, ৩-৪ মাস সময় লাগে। যেভাবে ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশন হবে সেভাবে এগোবে। নির্বাচনের তারিখ বা নির্বাচনের শিডিউল সম্পর্কে যে সিদ্ধান্ত হবে, তখন যেন আমাদের ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশন থাকে।'

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২১ ধরনের ফরম, ১৭ ধরনের প্যাকেট, ৫ ধরনের পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, নির্দেশিকাসহ অনেক কিছু মুদ্রণ করতে হয়।

সভা প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন, 'আসন্ন নির্বাচনে কাগজ কী পরিমাণ লাগে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া, এ সংক্রান্ত বাজেটের সংস্থানের ব্যাপার এবং আগের নির্বাচনের কিছু কাগজপত্র বিজি প্রেসে রয়েছে, সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে থাকলে ডিসপোজালের ব্যবস্থা করা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।'

নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজটির বিষয়ে অগ্রগতি নিতে একটি কমিটিও করেছে ইসি সচিবালয়।

ইসি সচিব বলেন, 'আমরা একটি কমিটি করে দিয়েছি। তারা যাচাই-বাছাই করবে। যে কাগজগুলো নষ্ট হয়েছে গেছে সেগুলোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ডিসপোজাল করা হবে। কাগজের পরিমাণ কতটুকু ও কতদিন লাগতে পারে সে বিষয়ে প্রস্তুতি রাখার জন্য এ আলোচনা করা হয়েছে।'

ইসি সচিব আরও বলেন, 'একইসঙ্গে আরও একটি ফ্লেক্সিবিলিটি যদি থাকে, চার মাসের ভেতর আমরা সবগুলো প্রকিউরমেন্ট করতে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English

No sharp rise in crime, data shows stability: govt

The interim government today said that available data does not fully support claims of a sharp rise in crimes across Bangladesh this year

2h ago