কুমিল্লা

আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত ১, আহত ১০

সংঘর্ষে নিহত মো. নিজাম চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুনের ছোট ভাই।
কুমিল্লা
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে  একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে শটগানের গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০ জন।

আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে বালুর ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানাধীন চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহত চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুনের ছোট ভাই মো. নিজামকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত নিজামের স্ত্রী সালমা আক্তার ও ভাই সানাউল্লাহ সরকার জানান, সকালে চালিভাঙায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। খবর শুনে বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে যান নিজাম। সেখানে তিনি টেঁটাবিদ্ধ হয়। নিজামসহ আহত সবাইকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক নিজামকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, কুমিল্লার মেঘনা থেকে অনেকেই টেঁটাবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

নিহত নিজামের বন্ধু স্থানীয় মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল কাইউম গ্রুপ (এমপি সেলিনা আক্তার মেরি সমর্থক) ও মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শফিক গ্রুপের সংঘর্ষে ১১ জন শটগানের গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।

নিহত নিজাম চেয়ারম্যান শফিক সমর্থিত গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে।

আহত বাকি ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন— উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শফিক গ্রুপের টিটু (৩০), রমজান (৩৫), ইব্রাহীম (২৮), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), দেলোয়ার (৩২), আনিছ সরকার (২৫), সুমন (২৪) এবং এমপি সেলিনা আক্তার মেরী সমর্থক আব্দুল কাইউম গ্রুপের কর্মী হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

ওই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Comments