আমরা তো শুনি সবারই যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ি আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মকর্তাদের বাড়ি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ থেকে কেউ অর্থ পাচার করে বিদেশে নিয়ে গেলে সরকার খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

অনেক প্রতিবেদনে এসেছে যে, পুলিশ কর্মকর্তা অনেকের বাড়ি আছে যুক্তরাষ্ট্রে। এই বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'আমাদের কাছে এ ধরনের সংবাদ নেই। আমরা শুনি। আমরা তো শুনি সবারই আছে! সবার মানে অনেকের আছে। ব্যবসায়ীদের আছে, সাংবাদিক ভাইদেরও আছে। পুলিশেরও শুনছি থাকতে পারে।

'যুক্তরাষ্ট্র তো অনেকের কাছেই যাওয়ার একটা জায়গা, বাসস্থান। সে জন্য অনেকে যান, অনেকে হয়তো বাড়ি করেছেন। সেখানে তাদের দেশের আইন মেনে যদি তারা করতে পারেন সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই,' বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সোর্স অব মানি তারা জবাব দেবেন। এটা তো সরকার জবাব দেবে না! তারা জবাব দেবেন সে দেশের সরকারকে। আমাদের দেশ থেকে যদি নিয়ে যায়, সরকার খতিয়ে দেখবে।'

বিএনপি বলেছে আগামীতে সরকার পতনের একদফাতে দাবিতে অনুষ্ঠেয় কর্মসূচির অনুমতি নেবে না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'আমি এখনো বলছি, সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে। নিয়ম মেনে না চললে অনিয়মের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যা করার করবে।'

আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশের চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু করণীয় নেই বলে জানান আসাদুজ্জামান খান।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত আইনের ভিত্তিতে নয়, সরকার রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে; এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট, এটা তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে আসে না। একটা যদি অঘটন ঘটে সেটার বিচার হয়। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন, আমাদের কিছু কর্তৃত্ব নেই।'

ভিসা নীতি কাদের ওপর প্রয়োগ হচ্ছে এমন কোনো তালিকা কি আপনারা পেয়েছেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ ধরনের লিস্ট আমরা পাইনি। যেগুলো হচ্ছে, আমার মনে হয় এগুলো সবই অতিরঞ্জিত এবং সত্যি ঘটনা নয় এগুলো।'

Comments

The Daily Star  | English

In coffins, from faraway lands

Kazi Salauddin, a 44-year-old man from Cumilla, migrated to Saudi Arabia in October 2022, hoping to secure a bright future for his family. But barely a year later, Salauddin, the father of two daughters and a son, died suddenly.

6h ago