‘খালেদা জিয়া বলেছেন কোনো শর্ত মেনে তিনি কোথাও যাবেন না’

ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পেশাজীবীদের কনভেনশনে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি: এমরান হোসেন

খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে কোনো শর্ত মানবেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার বার্তার কথাও জানিয়েছেন তিনি। খালেদা জিয়া বলেছেন, 'গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনো আপস নেই, কোনো শর্ত মেনে আমি কোথাও যাবে না।'

আজ দুপুরে ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কনভেনশনে এই বার্তার কথা জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'খালেদা জিয়া আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের বাতিঘর। তিনি নয় বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন, আপস করেননি। এখনো গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন। আজকে তিনি মৃত্যুশয্যায় বলা যেতে পারে। তিনি লড়াই করছেন মৃত্যুর সঙ্গে, জীবনের জন্য লড়াই করছেন।'

'সেখানেও তিনি পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন গণতন্ত্রের প্রশ্নের কোনো আপস নেই। কোনো শর্তে মেনে নিয়ে আমি কোথাও যাব না।'

মির্জা ফখরুল বলেন, তৎকালীন বেআইনি সরকারের (১/১১) লোকেরা বলেছিল বিদেশে চলে যাও… তিনি বলেছেন এই দেশ ছাড়া কোথাও জায়গা নেই আমার। তখন কিন্তু অন্যরা বিদেশে চলে গিয়েছিলেন…।'

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, 'তিনি বলেছেন, আমি নাকি ভুল বলেছি, মিথ্যাচার করেছি। এখানে আইনজীবীরা আছেন… ৪০১ ধারায় পরিষ্কার করে বলা আছে — সরকার, সরকার, সরকার।'

'সরকারের ক্ষমতা আছে শাস্তি মওকুফ করে দেওয়ার, মাফ করে দেওয়ার, ক্ষমতা আছে সাময়িকভাবে স্থগিত করার, ক্ষমতা আছে দণ্ড মাফ করে দিয়ে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করার। অথচ বেমালুম বলে যাচ্ছে…. কোনো সুযোগ নাই…. তাকে কারাগারে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আপনাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে খালেদা জিয়াকে আপনারা হত্যা করতে চান। সে কারণে এই ধরনের কথা বলছেন।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে খালেদা জিয়া সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছেন তার জন্য 'জনগণ নিকৃষ্টতম ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছে' বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও গণতান্ত্রিক পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এই পেশাজীবী কনভেনশন হয়। সারা দেশ থেকে শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদ, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার দেড় সহস্রাধিক প্রতিনিধি কনভেনশনে অংশ নেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

পেশাজীবী কনভেনশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডির আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদও বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

4h ago