নোয়াখালীতে বিএনপির রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলা, আহত ১০
বিএনপির রোডমার্চে যাওয়ার পথে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বসুরহাট পৌরসভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়ির এলাকায় এই হামলা হয়।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, হামলায় তাদের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা বিএনপির এক নারী কর্মীর স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে যান। এসময় তাদের অন্তত ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহমান রিপন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আহতদের মধ্যে পৌর বিএনপির সদস্য নুর নবী (৫০) ও ছাত্রদল নেতা নুরুল আফছারকে (২২) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, হামলাটি হয় সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী হাসনা জসীম উদদীন মওদুদের গাড়িবহরে। রোডমার্চে যোগ দিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি ফেনী যাচ্ছিলেন। হাসনা মওদুদের গাড়ির সঙ্গে কয়েকটি গাড়ি সেতুমন্ত্রীর বাড়ি পেরিয়ে যাওয়ার পর পেছনে থাকা গাড়িগুলো মহাজন দিঘীর পাড় এলাকায় সরকারি দলের হামলাকারীদের মুখে পড়ে। হামলাকারীরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ১০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, চারটি বাস এবং একটি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী হাসনা জসীম উদদীন মওদুদ বলেন, আমি শান্তিপূর্ভভাবে নেতাকর্মীদের নিয়ে রোডমার্চে যাচ্ছিলাম। গাড়ি বহর সেতুমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পৌঁছানোর পর ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। গাড়িতে ঢুকে নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে। অটোরিকশায় ঢুকে বিএনপি এক নারী কর্মীকে মারধর ও তার স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানানো হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, বিএনপির রোডমার্চে হামলার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।
Comments