বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস নাশকতা মামলায় কারাগারে, আরও ১১ নেতাকর্মী রিমান্ডে

Ruhul Kuddus Talukder Dulu
বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্র জানায়, রাজধানীর বাড্ডার থানায় নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এ মামলায় আরও ১১ বিএনপি নেতাকর্মীকে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে-ভোলা যুবদল সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, মাকছুদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, আবির ইসলাম সাত্তার, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে মামুন, শিমুল মিয়া, সোহেল, মোস্তাক হোসেন মুন্না, আব্দুল মান্নান শেখ বাবু ও শাহীনূর রহমান।

এর আগে গতকাল রাতে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে পুলিশ গুলশানের বাসা থেকে আটক করে। পরে তাকে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। 

সকালে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। অপর ১১ জনকেও গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের এসআই রিপন মিয়া তাদের আদালতে হাজির করে ১১ নেতাকর্মীকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার এবং দুলুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, গত ১৭ অক্টোবর বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে বাড্ডা থানাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রিন টাওয়ারের নিচতলায় কয়েকজন নাশকতা করার জন্য জড়ো হয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। 

পরে তারা সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। হামলায় আহত এসআই মানিক কুমার সিকদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

এতে আরও বলা হয়, তারা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আহ্বানে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। 

আদালতে শুনানির এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা দুলু আদালতের কাছে কথা বলার অনুমতি চান। আদালতের অনুমতি পেয়ে তিনি জানান, তিনি ক্যান্সারের রোগী। মাসে একবার কেমোথেরাপি নেন। টাকা না থাকায় গত মাসে কেমোথেরাপি আসেনি। এ কারণে নিতে পারেননি। এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে কেমোথেরাপি নিতে হবে।

তার আইনজীবীরা তখন বলেন, 'এই মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে পুলিশ এ মামলা তৈরি করেছে।'

দুলু সহ বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

11h ago