পুলিশ ভেস্টে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার পোস্ট, এসআই প্রত্যাহার

পুলিশ জানায়, এক কনস্টেবল তার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট টেবিলে রেখেছিলেন। স্বেচ্ছাসবক লীগ নেতা সাজেদুল ওই জ্যাকেট পরে ছবি তোলেন।
পুলিশের ভেস্ট পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনটে পুলিশের বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ঘটনায় ধুনট থানার এক উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে।

দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে এসআই শহিদুল ইসলামকে কয়েকদিন আগে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের ভেস্ট পরা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম (২৭) নিজেকে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক বলে দাবি করেছেন।

জানতে চাইলে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাজেদুল পদধারী নেতা নন। ঘটনার পর আমরা একটি বিবৃতি দিয়েছি।'

প্রত্যাহারকৃত এসআই শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, '৩১ অক্টোবর বিএনপির হরতালের দিন দুপুরে আমরা সোনাহাটা এলাকায় ডিউটিতে ছিলাম। দুপুর ১টার দিকে আমরা লাঞ্চ করতে যাই।'

'সে সময় সাজেদুল আমাদের বিট পুলিশিং অফিসে আসেন। সেখানে আমাদের এক কনস্টেবল মজিবুর রহমান তার বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট টেবিলে রেখেছিলেন। সাজেদুল ওই জ্যাকেট পরে ছবি তোলেন। পরে ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করলে সেটি ছড়িয়ে যায়। পরদিনই আমাকে ক্লোজড করা হয়,' যোগ করেন তিনি।

এসআই শহিদুলের দাবি, তিনি বিট পুলিশের ইনচার্জ থাকায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সাজেদুল আপনার অফিসে কী করছিলেন, জানতে চাইলে শহিদুল বলেন, 'তারা (রাজনৈতিক দলের লোকজন) সাধারণত আমাদের অফিসে এমনিই আসেন।'

যোগাযোগ করলে ওসি রবিউল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাজেদুলের ফেসবুক পোস্টটি নজরে এলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত করে এসআই শহিদুল ইসলামের গাফিলতি খুঁজে পাওয়া গেলে তাকে ক্লোজড করা হয়।'

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'আমরা সাজেদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে তিনি ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চান।'
 

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago