তফসিল ঘোষণা

‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হলে সব দায় ইসির’

ইসিকে তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান বিএনপির
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

নির্বাচন কমিশনকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উদ্দেশে বলেছেন, 'যেখানে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা ঠিক হয়নি, সেখানে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে আমি মনে করি দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে; যেটা দেশের জন্য সুখকর নয়।'

তিনি আরও বলেন, 'সামনে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, রাজনৈতিক অবস্থা যদি জটিল হয়, সমস্ত দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর পড়বে।'

আজ বুধবার দুপুরে হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, 'আপনারা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন না দয়া করে। যদি আপনারা না পারেন, সরকার যদি চাপ দেয়, আপনারা পদত্যাগ করুন। দেশকে বাঁচান, গণতন্ত্রকে বাঁচান। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করুন।

'এটাই আমার দাবি, দলের পক্ষ থেকে,' বলেন তিনি।

সংলাপ প্রসঙ্গে খোকন বলেন, 'আমেরিকান রাষ্ট্রদূত চিঠি দিয়েছেন। ২০১৪ সালে টেলিফোনে ডায়ালগ হয়েছিল। তারা ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। ২০১৮ সালে ডায়ালগ হয়েছিল, গণভবনে সবাই গিয়েছিল আলোচনা করতে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও কিন্তু আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, নির্বাচন সঠিক হবে, সুন্দর হবে, ফেয়ার হবে কিন্তু ফেয়ার হয়নি। আগের দিন রাতের বেলা ভোট হয়ে গেছে।'

আওয়ামী লীগকে জনগণ বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, 'তাদের ভোটাররা বিশ্বাস করে না, কোনো রাজনৈতিক দল বিশ্বাস করে না। তাদের সঙ্গে আলোচনা করলেও, আমি মনে করি বৃথা; কোনো লাভ হবে না।'

আপনারা কি শর্তহীন সংলাপে মার্কিন আহ্বান প্রত্যাখ্যান করছেন—জানতে চাইলে অতীত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'সরকার এবারও নির্বাচন সামনে রেখে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের সব জাতীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে, নির্বাচনকালীন সরকারের ফয়সালা না করে যদি শিডিউল ঘোষণা করা হয়; আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের সফল।'

বিএনপি সংলাপে যাবে কি না জানতে চাইলে খোকন বলেন, 'কার সঙ্গে সংলাপ করবেন? আওয়ামী লীগের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। আমাদের উচ্চ পর্যায় চিন্তা-ভাবনা করবে। যদি এ রকম কোনো প্রস্তাব আসে, নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাকবেন না, আওয়ামী লীগ সরকারে থাকবে না—নিশ্চয়ই বিএনপি তখন চিন্তা-ভাবনা করবে।'

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গতকাল একজন পুলিশ অফিসার বলেছেন, পার্টি অফিস খোলা আছে। পার্টি অফিস তারা সিজ করেছে, বিএনপিকে হ্যান্ডওভার করেছে? কেন তারা পার্টি অফিস সিজ করেছিল, ক্রাইম সিন এলাকা ঘোষণা করেছিল? তারা ওঁৎ পেতে আছে, বিএনপি অফিসে কেউ গেলে গ্রেপ্তার করার জন্য। আজকে কয়েকজন পার্টি অফিসের সামনে গেছে, তাদের গ্রেপ্তার করেছে।'

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বিএনপি তলে তলে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচনে যেতে একটি অংশ প্রস্তুত, এটা কতটা সত্য জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, 'এটা মোটেও ঠিক না। তলে তলে শব্দটা আওয়ামী লীগ বলেছে। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, তলে তলে সব মিল হয়ে গেছে। তলে তলে শব্দটাই আওয়ামী লীগের। বিএনপি যা বলে প্রকাশ্যে বলে, বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে; তলে তলে কিছু করে না বিএনপি।'

তৃণমূলের কেউ যদি যায়, আপনাদের পদক্ষেপ কী হবে—জানতে চাইলে খোকন বলেন, 'আমি মনে করি, বিবেকবার কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো ব্যক্তি এই আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।'

এ সময় নির্বাচন কমিশনকে আবারও তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান খোকন।

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

8h ago