ভোট বর্জন ও সরকারকে অসহযোগিতার কর্মসূচি বিএনপির

BNP logo

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন ও সরকারকে অসহযোগিতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি পালনে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বাংলাদেশকে একটি রাষ্ট্রের স্যাটেলাইট স্টেট করার চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিএনপি নাকি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করছে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলেছেন। বিএনপি ও সমমনা দল; আজকে ৬৩টি দল যে সংগ্রাম করছে, এটা একদিকে যেমন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন, জনগণের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন, আরেকটা হচ্ছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন। বাংলাদেশ যাতে উপনিবেশে পরিণত না হয় সেটা প্রতিরোধ করতে এ আন্দোলন।'

আগামী ৭ জানুয়ারি আবারও একটি পাতানো নির্বাচন হতে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আজ ফ্যাসিস্ট অবৈধ সরকারকে সব ধরনের অসহযোগিতা শুরু করার বিকল্প নেই। জনগণের ভোটে একটি অংশগ্রহণমূলক, গণতান্ত্রিক-সাংবিধানিক তথা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি এই মুহূর্ত থেকে বর্তমান অবৈধ সরকারকে আর কোনো রকমের সহযোগিতা না করার জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণতন্ত্রকামী দেশ প্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।'

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বলে জানান রিজভী।

জনগণের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, 'আগামী ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন বর্জন করুন। নির্বাচনের নামে ৭ জানুয়ারি বানর খেলার আসরে অংশ নেবেন না। আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। এটি আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। নির্বাচন কমিশন ৭ জানুয়ারি কাকে এমপি ঘোষণা করবে গণভবনে সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।'

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'বর্তমান অবৈধ সরকারের সব ধরনের ট্যাক্স, খাজনা ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকগুলো এই সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম, সুতরাং ব্যাংকে টাকা রাখা নিরাপদ কি না সেটি ভাবুন।'

রিজভী বলেন, 'মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আপনারা আজ থেকে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনাদের প্রতি সুবিচার করার আদালতের স্বাধীনতা ফ্যাসিবাদী সরকার কেড়ে নিয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

2h ago