বাংলাদেশ গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে: ফখরুল

বর্তমান সংকট সমাধানে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্টার ফাইল ফটো

ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।

রোববার রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ইফতার অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে চীন, ভারত, পাকিস্তান, নরওয়ে, সুইডেন, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও ছিলেন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরাও ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইফতারে কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা জানান।

ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে 'টু স্টেট পলিসি'র দাবিও জানান।

একইসঙ্গে বর্তমান 'ফ্যাসিস্ট সরকারের' ৭ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠান, বিরোধী দলের ওপর নির্মম দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ একটা গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। দেশে একটা ফ্যাসিস্ট রেজিমের শাসন চলছে… তারা ৭ জানুয়ারি একটি নির্বাচন করেছে যেটা কোনো নির্বাচন হয়নি।'

নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ হাজারো নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা দায়েরের কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, 'দেশের জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এই ফ্যাসিস্ট রেজিম সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করছে।'

বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সংকট সমাধানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।

ইফতারের আগে বিএনপি মহাসচিব কূটনীতিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, মীর নাসির, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলে এলাহী আকবর, আবদুল কাইয়ুম, ফরহাদ হালিম ডোনার, সুজা উদ্দিন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কায়সার কামাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, মীর হেলাল, মওদুদ হোসেন আলমগীর, শাহ নেসারুল হক, ইশরাক হোসেন, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার অনুষ্ঠানে ছিলেন।

আরও ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক শহীদুজ্জামান, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ইনকিলাবের সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, সাবেক ব্যাংকার বখতিয়ার নাসের বখতিয়ার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব তাজুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মওলা রনি।

ইফতার ও মাগরিবের নামাজ শেষে কূটনীতিকরা নৈশভোজেও অংশ নেন।

Comments