চট্টগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ-গুলি-আগুন, আহত ১০

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় স্থানীয় বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ বিএনপি কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের আদুদ চৌধুরী ঈদগাহ মাঠ, ইউসুফ দীঘি পাড় এবং গাহিরা চৌমুহনীসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ হয়।

সূত্র জানিয়েছে, বিকেলেই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময় তারা গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। তবে পুলিশ এই তথ্য অস্বীকার করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, গোলাম আকবরের সমর্থক আব্দুল কাইয়ুম (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া অর্জুন কুমার নাথ (২৮), মো. সেকান্দার (২৮), মোরশেদুল আলম (৪০) ও বাদশা আহত হয়েছেন। তবে আহত সবার পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গোলাম আকবরের সমর্থকরা আদুদ চৌধুরী ঈদগাহ মাঠে একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিল। সেখানে বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা এসেছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে মোটরসাইকেলে ১০ থেকে ২০ জনের একটি দল এসে মাহফিল বন্ধ করতে বললে তর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ গুলি শুরু হয় এবং একজন গুলিবিদ্ধ হন।

তারা আরও জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর নেতাকর্মীরা কাছের একটি মসজিদে ইফতার করেন। মাগরিবের নামাজের পর উভয় পক্ষ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং ইউসুফ দিঘি পাড়ে কমপক্ষে পাঁচটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইফতারের আগে পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল, কিন্তু ইফতারের পর তারা বারবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।'

'প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, গোলাম আকবর গ্রুপ একটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিল, কিন্তু তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ বন্ধ করতে বলায় সংঘর্ষ শুরু হয়। গুলি চালানো হয়েছে এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। কেউ অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

12h ago