কসবায় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার বিকেলে মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাটে হামলা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও পেয়েছেন তারা। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
সূত্র জানিয়েছে, মেহারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আউয়াল এবং মেহারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে সোমবার বিকেলে তাদের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
আবদুল কাদের বলেন, 'আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবদুল আউয়াল বলেন, 'আমি এলাকায় ছিলাম না। বর্তমানে ঢাকাতে অবস্থান করছি। গত কয়েক মাস আগে মেহারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও তার লোকেরা শিমরাইল সাতপাড়া এলাকার একটি মৎস্য খামার দখল করতে গেলে তাদের সঙ্গে আমাদের লোকজনদের মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মোস্তফা কামালের লোকেরা আমাদের লোকজনদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে।'
একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও প্রতিবারই মোস্তফা কামালের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
Comments