চট্টগ্রামে খোলা ড্রেনে পড়ে শিশু নিখোঁজ

রোববার বিকেলে বাড়ির পাশের রাস্তায় খেলার সময় শিশুটি রাস্তার পাশের ড্রেনে পড়ে যায়।
খোলা ড্রেন
চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন রঙ্গীপাড়া এলাকায় খোলা ড্রেনে পড়ে এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন রঙ্গীপাড়া এলাকায় খোলা ড্রেনে পড়ে ২ বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ির পাশের রাস্তায় খেলার সময় শিশু ইয়াসিন রাস্তার পাশের ড্রেনে পড়ে যায়।

খবর পেয়ে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'ড্রেনে শিশু নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছি। তবে ড্রেনটি প্লাস্টিক ও পলিথিনের আবর্জনায় পূর্ণ থাকায় উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে।' 

স্থানীয়রা জানায়, মুষলধারে বৃষ্টির কারণে খোলা ড্রেনটি পানিতে প্রায় পূর্ণ হয়ে আছে।

খোলা ড্রেনে পড়ে যাওয়ার ঘটনা বন্দরনগরীতে নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছর ধরে নগরীর খোলা ড্রেন ও অরক্ষিত খালে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, শহরে মোট ১৬১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৫৬টি খাল এবং ৭৬৫ কিলোমিটার ড্রেন আছে। 

চসিক কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে নগরীর ড্রেন, খাল ও ফুটপাথের ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোর ওপর একটি জরিপ চালায়। জরিপের পর মোট ৫ হাজার ৫২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্পট চিহ্নিত করা হয়। এগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ছিল ১৯ কিলোমিটার।

কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রতিরক্ষামূলক কাজের গতি খুবই মন্থর বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

যোগাযোগ করা হলে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খোলা ড্রেনে স্ল্যাব স্থাপন এবং খালের পাশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কাজ চলমান আছে। ইতোমধ্যে ৩০ হাজার বর্গফুট ড্রেনে স্ল্যাব বসানো হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ খালের ১৮ হাজার বর্গফুট জায়গায় প্রতিরক্ষা দেওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।'

তবে চকবাজার, চরশ্বরী রোড, রাহাত্তার পুল ও কেবি আমান আলী রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ড্রেন ও খালগুলো খোলা ও অরক্ষিত অবস্থায় আছে যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে।  

যোগাযোগ করা হলে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রঙ্গিপাড়ায় একটি ড্রেনে শিশুর নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনেছি। চসিক কর্মকর্তাদের উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছি।'

রেজাউল আরও বলেন, 'নগরীর সব খোলা ড্রেন ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু নগরের সব ড্রেন ঢেকে দেওয়া বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।'

Comments

The Daily Star  | English

Fixed expenses to eat up 40pc of next budget

The government has to spend about 40 percent of the next budget on subsidies, interest payments, and salaries and allowances of government employees, which will limit its ability to spend on social safety net, health and education.

39m ago