পূর্বাভাসের তুলনায় ভালো করছে অর্থনীতি, দাবি রাশিয়ার
রাশিয়ার অর্থনীতি ৩ মাস আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী সংকুচিত হবে না। এমনকি, মূল্যস্ফীতিও সহনীয় মাত্রায় থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরুর পর থেকেই মস্কোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে। দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়াই ছিল এসব বিধিনিষেধের লক্ষ্য। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে ভিন্ন কথা।
অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার জ্বালানি ও আর্থিক খাতের ওপর নজিরবিহীন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। দেশের বাইরে রুশ রিজার্ভগুলোকেও আটকে দেওয়া হয়। পশ্চিমের প্রতিষ্ঠানগুলো রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হওয়ায় দেশটির অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেয়।
এতো বিধিনিষেধ সত্ত্বেও টানা ৬ মাস ধরে চলছে রাশিয়ার 'বিশেষ সামরিক অভিযান' এবং মে মাসে মন্ত্রণালয় যে পূর্বাভাষ দিয়েছিল সে তুলনায় দেশটির অর্থনীতি ভালো করেছে।
মে মাসে রাশিয়ার জিডিপি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। এখন তা ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সঞ্চয়ের পর হাতে থাকা আয়ও পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো করছে (৬ দশমিক ৮ শতাংশ সংকোচনের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ সংকোচন)।
এক পর্যায়ে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বিধিনিষেধের প্রভাবে অর্থনীতি ১২ শতাংশেরও বেশি সংকুচিত হতে পারে। তা সত্য হলে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সংকটে রূপান্তরিত হতো।
সর্বশেষ তথ্য মতে, চলতি বছর শেষে মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বের হার যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৪ ও ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। আগের পূর্বাভাসে এই সংখ্যাগুলো ছিল যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৫ ও ৬ দশমিক ৭।
প্রতিবেদন মতে, রাশিয়ার ২০২৩ সালের জিডিপির পূর্বাভাস কিছুটা নেতিবাচক। অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জিডিপি ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমতে পারে। ৩ মাস আগে এই হার শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, অর্থনীতির মন্দা পূর্ব-ধারণার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলবে। মূলত এ কারণেই ২০২৩ এর জিডিপির ক্ষেত্রে সংকোচনের হার বেশি ধরা হয়েছে।
চলতি আগস্টের তথ্য অনুসারে, অর্থ মন্ত্রণালয় তেলের দামের পূর্বাভাস জানায়নি। পূর্বাভাস পরিবর্তনের পেছনে কোনো কারণও জানায়নি মন্ত্রণালয়।
নতুন পূর্বাভাসে সরকারের বাজেট কমিটি ও মন্ত্রিসভা নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
Comments