জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা থেকে ইরানকে বহিষ্কারের প্রস্তাব

নৈতিকতা পুলিশের কার্যক্রম বন্ধের পর তেহরানের পথে হেঁটে যাচ্ছেন এক ইরানি নারী। ছবি: রয়টার্স
নৈতিকতা পুলিশের কার্যক্রম বন্ধের পর তেহরানের পথে হেঁটে যাচ্ছেন এক ইরানি নারী। ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থা কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ) থেকে ইরানকে বহিষ্কার করা হতে পারে। ইরানের নারীদের মানবাধিকার পরিপন্থী জাতীয় নীতিমালার কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকরা।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভোটের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বেশ কয়েকটি দেশ ভোটদানে বিরত থাকবে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) ৫৪ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোট দেবে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, 'ইসলামী প্রজাতন্ত্রী ইরানকে তাৎক্ষণিকভাবে সিএসডব্লিউ থেকে বহিষ্কার করা হোক।'

৪৫ সদস্যের সিএসডব্লিউ প্রতি বছর মার্চে বৈঠক করে। এই কমিশনের লক্ষ্য জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে প্রচার চালানো।

ইরান, ফিলিস্তিন ও আরও ১৭টি দেশ সোমবার ইকোসকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, এ বিষয়ে ভোটের আয়োজন করা হলে তা 'সুনিশ্চিতভাবে একটি অস্বস্তিকর উদাহরণের সৃষ্টি করবে, যেটি এ ধরনের কমিশনে বিভিন্ন সংস্কৃতি, নীতি ও ঐতিহ্যের সদস্য রাষ্ট্রের অবদান রাখার পথ রুদ্ধ করবে।'

চিঠিতে এই মার্কিন উদ্যোগের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

কারণ হিসেবে বলা হয়, এ ধরনের উদ্যোগে 'স্বায়ত্তশাসিত ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিত সরকারকে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বহিষ্কারের নতুন ধারা চালু হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো রাষ্ট্রকে যদি অসুবিধাজনক মনে হয়, তাহলে এ ধরনের উদ্যোগ সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট জোগাড় করা সম্ভব হবে।'

তবে চিঠিতে সই দেওয়া রাষ্ট্রের মধ্যে মাত্র ৫টি রাষ্ট্র বর্তমানে ইকোসকের সদস্য এবং তারা আগামীকাল বুধবারের ভোটে অংশ নিতে পারবে।

ইরানে সোমবার এক ব্যক্তিকে জনসম্মুখে ফাঁসি দেওয়া হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর ২ সদস্যকে হত্যা করেছেন। ১ সপ্তাহের মধ্যে এটি ইরানের ক্ষমতাসীন ধর্মীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তির ফাঁসির ঘটনা।

প্রায় ৩ মাস আগে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

শুরুতে শুধু মাহসার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হলেও এটি পরবর্তীতে সমাজের সর্বস্তরে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর ক্ষমতায় আসা শিয়া নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে রূপান্তরিত হয়েছে।

ইরান বাইরের শত্রু এবং তাদের দালালদের এই বিক্ষোভের জন্য দায়ী করেছে।

জেনেভা ভিত্তিক জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ভোটের মাধ্যমে গত মাসে বিক্ষোভ দমনে ইরান কর্তৃপক্ষের অহেতুক সহিংস নীতি অবলম্বনের বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য একজন স্বাধীন তদন্তকারী নিয়োগের বিষয়টি পাস করেছে।

এ ছাড়া তেহরান এই উদ্যোগকে 'বিস্ময়কর ও অপমানজনক' বলে অভিহিত করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

NBR officials end strike after govt warning

Following a stern government warning and mounting pressure from the country’s top business leaders, officials of the National Board of Revenue have withdrawn their shutdown.

3h ago