মাহসা আমিনির শোকসভায় বাধা, ইরানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ

মাহসা আমিনির অন্ত্যষ্টিক্রিয়ার সময় তোলা ছবিতে বাবা আমজাদ আমিনি। ফাইল ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
মাহসা আমিনির অন্ত্যষ্টিক্রিয়ার সময় তোলা ছবিতে বাবা আমজাদ আমিনি। ফাইল ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

ইরানে পুলিশি হেফাজতে নিহত কুর্দি নারী মাহসার আমিনির পরিবার তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য কবরের পাশে শোকসভা আয়োজন করতে গেলে এতে বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ এবং মাহসার বাবা আমজাদ আমিনিকে গ্রেপ্তার করে।

আজ রোববার একটি মানবাধিকার সংস্থার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারের গণমাধ্যম আল জাজিরা।

শনিবার ভোরে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে সাকেজ এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে বের হলে আমজাদ আমিনিকে আটক করা হয়। মেয়ে মাহসার কবরের পাশে কোন সমাবেশ আয়োজন না করার বিষয়ে সতর্ক করে তাকে পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ তথ্য জানিয়েছে কুর্দিস্তান হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক (কেএইচআরএন), ১৫০০ তাসভির মনিটর ও ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)।

তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএর প্রতিবেদনে আমজাদ আমিনিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, আমজাদকে হত্যার চক্রান্ত নস্যাৎ করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

গত বছর সেপ্টেম্বরে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন কুর্দি নারী মাহসা। তার অপরাধ ছিল বাধ্যতামূলক পোশাক বিধি মেনে না চলা। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হলে সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে।  

কয়েক মাস ধরে চালু থাকা এই বিক্ষোভে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের মধ্যে ৭১ জন শিশুও রয়েছে। আরও অসংখ্য মানুষ আহত ও গ্রেপ্তার হন বলেও জানিয়েছে এই তিন মানবাধিকার সংস্থা। 

বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ইতোমধ্যে ৭ ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়েছে ইরান।

শনিবার রাত থেকেই ইরানকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়। কুর্দি অধ্যুষিত এলাকায় কঠোর প্রহরার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। যার ফলে বড় আকারে বিক্ষোভ সমাবেশ বা মিছিলের আয়োজন হয়নি। তবে দেশের একাধিক জায়গায় ছোটখাটো সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে তেহরান ও দেশের অন্যান্য কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ ও সংঘাতের বিষয়ে জানা গেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago