পাল্টা হামলার বদলে বিধিনিষেধে ইরানকে জবাব দিন: ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহৃত ইরানীয় ব্যালিসটিক মিসাইলের সামনে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি। ক্ষেপণাস্ত্রটি ডেড সি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহৃত ইরানীয় ব্যালিসটিক মিসাইলের সামনে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি। ক্ষেপণাস্ত্রটি ডেড সি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলো ইরানের ওপর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করেছে। ইসরায়েলীয় পাল্টা হামলাকে নিরুৎসাহিত করতেই মূলত এই উদ্যোগ নিয়েছে ওয়াশিংটন।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

ওয়াশিংটনের এই উদ্যোগের পাশাপাশি 'জবাব' দেওয়ার কৌশল নিয়ে আজ তৃতীয়বারের মতো ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।

শনিবার রাতের হামলায় কেউ হতাহত হয়নি এবং তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া যায়নি। তবে এই সহিংসতার মাধ্যমে ছয় মাস ধরে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হেরজি হালেভি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের ৩০০'র চেয়েও বেশি মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন হামলার ' উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে'। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ইসরায়েল সরকারের এক সূত্র জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকটি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি বুধবারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ জানান, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে 'কূটনীতিক লড়াইয়ে' নেতৃত্বও দিচ্ছেন। তিনি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপের আহ্বান জানিয়ে ৩২টি দেশের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এ ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি এসব দেশও জাতে ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস বাহিনীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে, সে আহবানও তিনি জানিয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইসরায়েলকে বড় আকারে পাল্টা হামলা চালানো থেকে নিরুৎসাহিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে আরও কড়া অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব রেখেছে।

আগামী দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের মিসাইল ও ড্রোন প্রকল্পকে লক্ষ্য করে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করবে এবং দেশটি আশা করছে তাদের মিত্ররাও একই ধরনের উদ্যোগ নেবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার পর জানান, কিছু সদস্য রাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ সম্প্রসারণের অনুরোধ করেছে। তিনি আরও জানান, ইইউর কূটনীতিক সংগঠন এ বিষয়টি নিয়ে শিগগির কাজ শুরু করবে।

বোরেল জানান, এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে রাশিয়ার কাছে ইরানের ড্রোন সরবরাহ করার সক্ষমতা কমে যাবে। মিসাইলের ক্ষেত্রেও একই বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সমর্থনপুষ্ট 'প্রক্সি' সংগঠনগুলোও (হিজবুল্লাহ, সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী) তেহরানের কাছ থেকে এসব অস্ত্র পেতে হিমশিম খাবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

4h ago