ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলা প্রতিহত করল রাশিয়া

ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ।
মনুষ্যবিহীন বের‍্যাকটার টিবি২ ড্রোন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মনুষ্যবিহীন বের‍্যাকটার টিবি২ ড্রোন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর মিখাইল রাজভোঝায়েভ।

আজ রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়ার নিয়োগকৃত ক্রিমিয়ার গভর্নর বলেছেন—গতকাল ইউক্রেনের একটি ড্রোন সেভাস্তোপোল শহরের কাছে কৃষ্ণ সাগরে মোতায়েন করা রুশ নৌবহরে হামলার চেষ্টা করলে তা ভূপাতিত করা হয়।

তবে বিষয়টি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল এক ভিডিওতে সেভাস্তোপোল শহরের যে এলাকা রাশিয়ার নৌবহর আছে সেখান থেকে ধোঁয়া ওঠতে দেখা যায়। তবে বিবিসি সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

মিখাইল রাজভোঝায়েভ গণমাধ্যমকে বলেন, 'নৌবহরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় আছে। ইউক্রেনের ড্রোনটি ধ্বংস করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ধ্বংসপ্রাপ্ত ড্রোনটি সদরদপ্তরের ছাদে পড়ে। তবে এতে কেউ আহত হননি বা তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।'

রাজভোঝায়েভ জানান, সেভাস্তোপোল শহরে বিমানবিধ্বংসী ব্যবস্থা আবার কার্যকর করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ক্রিমিয়ায় বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলার বিষয়ে তথ্য জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার সেভাস্তোপলের বিমানঘাঁটিতে ও শুক্রবার বন্দরের কাছাকাছি জায়গায় আরও ২ বার ড্রোন হামলা হয়।

ইরানের কাছ থেকে ড্রোন কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে রাশিয়া। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইরানের কাছ থেকে ড্রোন কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে রাশিয়া। ফাইল ছবি: রয়টার্স

২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। সে সময় থেকে এই ভূখণ্ডটি ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে ইউক্রেন।

তবে সাম্প্রতিক হামলার দায়ভার স্বীকার করেনি কিয়েভ।

কিছু হামলার ক্ষেত্রে মস্কো ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। মস্কো ইঙ্গিত দিয়েছে, ইউক্রেনের বাহিনী অথবা কিয়েভের প্রতি বিশ্বস্ত কিছু মানুষ বিশেষ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে এই হামলা চালাচ্ছে।

পশ্চিমের কর্মকর্তাদের মতে, এই ঘটনাগুলো রুশ বাহিনীর যুদ্ধের কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে এবং সেনা সদস্যদের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago