‘২০২৩ এর শুরুতেই ফুরিয়ে যাবে রাশিয়ার অত্যাধুনিক গোলাবারুদ’

খারকিভের একটি গ্রামে রুশ বাহিনীর ফেলে যাওয়া এমএলআরএস কামানের গোলা। ছবি: রয়টার্স
খারকিভের একটি গ্রামে রুশ বাহিনীর ফেলে যাওয়া এমএলআরএস কামানের গোলা। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে প্রায় ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার মতে, গোলাবারুদের মজুদ ফুরিয়ে আসায় রাশিয়া এখন ৪০ বছরের পুরনো গোলাবারুদ ব্যবহার করছে। 

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে কর্মকর্তা বলেন, 'তারা (রাশিয়ার) বহু পুরনো মজুদ থেকে গোলাবারুদ ব্যবহার করছে, যার কোনো কোনোটি ৪০ বছর আগে উৎপাদন করা হয়েছিল।'

যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, রাশিয়ার মজুদ কমে আসায় দেশটি ইরান ও উত্তর কোরিয়া থেকে গোলাবারুদ সংগ্রহ করছে।

জ্যেষ্ঠ মার্কিন সামরিক কর্মকর্তার মতে, ২০২৩ এর শুরুর দিকেই রাশিয়ার অত্যাধুনিক গোলাবারুদের মজুদ ফুরিয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে আমদানি ও পুরনো মজুদ ব্যবহার ছাড়া কোনো গতি থাকবে না দেশটির।

'আমার হিসেব মতে, যে হারে রাশিয়া নিখুঁত ও মেরামতযোগ্য কামানের গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে, তাতে ২০২৩ এর মাঝেই এ ধরনের অস্ত্রের মজুদ ফুরিয়ে যাবে', যোগ করেন তিনি।

পুরনো গোলাবারুদের উপযোগিতার বিষয়ে তিনি বলে, 'আপনি কামানে গোলাবারুদ বা ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্ত করে আশা করতে পারেন যে এটি ছোঁড়া যাবে, বা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পর বিস্ফোরিত হবে, কিন্তু এর কোনো নিশ্চয়তা থাকবে না।'

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মতে, ইরান ইতোমধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়ার কাছে ড্রোন স্থানান্তর করেছে।

এছাড়াও, জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি বারবারা উডওয়ার্ড শুক্রবার দাবি করেন, মস্কো ইরান থেকে শত শত ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর বিনিময়ে তারা তেহরানকে নজিরবিহীন সামরিক ও কারিগরী সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

গত মাসে ইরান মস্কোকে ড্রোন দেওয়ার কথা স্বীকার করে। কিন্তু তাদের দাবি, এই ড্রোন তারা মস্কোর বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর আগেই সরবরাহ করেছে। রাশিয়া ইরানের ড্রোন ব্যবহার ও উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

$1b a year needed to hit 2030 green energy goal

Bangladesh needs to expand its renewable energy capacity by 21 percent annually to meet its latest green energy target by 2030, requiring nearly $1 billion in yearly investment, according to a study by the Institute for Energy Economics and Financial Analysis (IEEFA).

13h ago