রুশ ভূখণ্ডে ড্রোন হামলার জবাবে ইউক্রেনে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সোমবারের হামলায় ঝাপোরিঝঝিয়া অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: এপি
সোমবারের হামলায় ঝাপোরিঝঝিয়া অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: এপি

ইউক্রেনে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।

রাশিয়ার অভিযোগ, কিয়েভ তাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই হামলার বিষয়ে জানানো হয়।

কিয়েভের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রুশ বাহিনী কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কয়েকটি অঞ্চলে পানি ও বিদ্যুতের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।

এ ছাড়া ক্রিভি রিহ শহরে অন্তত একজন এবং ঝাপোরিঝঝিয়াতে অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইউক্রেন সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি ভবন ধসে কিছু অংশ পাশের দেশ মলদোভায় পড়ে সেখানেও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা ৬০টিরও বেশি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। তারপরও, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ফলে ক্রিভি রিহ ও দক্ষিণের শহর ওদেসায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

অন্যদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি, ইউক্রেন সোমবার সকালে দুটি রুশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। দেশটির মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের বিমান হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'সারাতভ ও রিয়াজান প্রদেশে' এই হামলা প্রতিহত করেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আরও জানায়, রাশিয়ার দূরপাল্লার উড়োজাহাজ হামলার সক্ষমতা ধ্বংস করতে কিয়েভ রাশিয়ায় নির্মিত ড্রোন ব্যবহার করে রিয়াজান প্রদেশের দিয়াঘিলেভো এবং সারাতভ প্রদেশের এনগেলস বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। 

তারা আরও জানায়, ধ্বংস হয়ে যাওয়া দুটি ড্রোনের আঘাতে ২টি উড়োজাহাজ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কিয়েভে ইরানে নির্মিত কামিকাযে ড্রোনের বিরুদ্ধে লড়ছেন ইউক্রেনের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স
কিয়েভে ইরানে নির্মিত কামিকাযে ড্রোনের বিরুদ্ধে লড়ছেন ইউক্রেনের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জানিয়েছে, সোমবার রাশিয়া ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। তাদের দাবি, 'গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর বড় আকারে হামলা' তারা প্রতিহত করেছে। তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতি করেছে।

সবশেষ হামলায় বন্দরনগরী ওদেসা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ইনফোক্সভদোকানাল জানিয়েছে, 'সব পাম্পিং স্টেশন ও রিজার্ভ লাইন বিদ্যুতবিহীন অবস্থায় আছে। ফলে ভোক্তাদের কাছে পানি নেই।'

সামরিক কর্মকর্তা ওলেকসি কুলেবা জানান, রাজধানী কিয়েভে এখনো ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন। সোমবারের হামলায় শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে দেশের বিমান হামলা প্রতিরোধে নিয়োজিত বাহিনী, বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে নিযুক্ত প্রকৌশলী ও দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।

 

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago