ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন

খারকিভ ও ওডেসায় নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত

আঞ্চলিক প্রধানরা আরও জানান, এসব হামলায় বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই অসংখ্যবার আক্রান্ত হয়েছে খারকিভ। ২০২২ এর মার্চে শহরটির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই অসংখ্যবার আক্রান্ত হয়েছে খারকিভ। ২০২২ এর মার্চে শহরটির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দাবি, এই হামলায় খারকিভ ও ওডেসা শহরের আবাসিক ভবন ও অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

আঞ্চলিক প্রধানরা আরও জানান, এসব হামলায় বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

বন্দরনগরী ওডেসার গভর্নর ম্যাকসিম মারচেনকো জানান, বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।

তিনি আরও জানান, আবাসিক এলাকাতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তবে কেউ হতাহত হননি।

খারকিভের আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ওলেগ সাইনেগুবভ জানান, শহরে এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে 'প্রায় ১৫ বার' ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। কিছু 'গুরুতর অবকাঠামো' ও ১টি আবাসিক ভবন ছিল এ হামলার লক্ষ্যবস্তু।

পূর্বের শহর নিপ্রো ও অন্যান্য অঞ্চল থেকেও হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

অপরদিকে, রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক বাহিনী ভগনারের প্রধান বুধবার বলেছেন, ইউক্রেনের বাখমুত শহরের পূর্বাঞ্চল পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তার বাহিনী।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সেনারা বাখমুত থেকে কৌশলগত পশ্চাদপসরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু, ইউক্রেনের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতারা এখন ওই অঞ্চলে সেনাদের অবস্থান নিতে ও রুশ সেনাদের মোকাবিলার কথা বলছেন।

ভগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন আরও বলেন, তার যোদ্ধারা বাখমুত দখলে রাশিয়ার অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা শহরটির পূর্বাঞ্চল দখল করেছে।

প্রিগোজিন টেলিগ্রামে জানান, বাখমুতকা নদীর পূর্বদিকের সবকিছুই পুরোপুরি ভগনারের নিয়ন্ত্রণে। নদীটি বাখমুত শহরকে ভাগ করেছে এবং দনেৎস্ক  অঞ্চলের এক প্রান্তে অবস্থিত, যা ইতোমধ্যে রাশিয়ার দখলে আছে।

প্রিগোজিন এর আগেও একাধিকবার এমন দাবি করেছেন।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের মুখপাত্র সেরহি চেরাভাতি মঙ্গলবার সরকারি টেলিভিশনকে বলেছিলেন, বাখমুতে আমাদের সেনাদের প্রধান কাজ হচ্ছে শত্রুর যুদ্ধ সক্ষমতা হ্রাস করা।

 

Comments