জনগণের দুরবস্থা নিয়ে মন্ত্রী মহোদয়রা আর কত রসিকতা করবেন
বিশ্বে চলমান এই আর্থিক অস্থিরতার সময়ে বাংলাদেশের মানুষ অন্যান্য দেশের মানুষের চাইতে ’বেহেশতে’ আছে বলে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন প্রকাশ্যে মতামত দেন, তখনতো একটা শোরগোল পড়তেই পারে। বিশেষ করে এই...
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ওপর ‘মোরাল পুলিশিং’ আর কত?
স্লিভলেস পোশাক পরা তরুণীর ছবি তোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকার দ্বারা ফটোগ্রাফারকে হেনস্থা করার ঘটনাটি শুনে মনে হলো আমরা মধ্যযুগের কোনো সমাজে বিচরণ করছি। সেই শিক্ষিকা ও তার সহকর্মীদের মতে...
মুখের কথা আর বন্দুকের গুলি একবার ছুটে গেলে…
বাংলা বচন আছে, “মুখ থেকে কথা ছুটে গেলে আর বন্দুক থেকে গুলি বের হয়ে গেলে, তা আর ফেরানো যায় না, যা ঘটার তাই ঘটে যায়।” ঠিক সেটাই ঘটেছে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর ক্ষেত্রে।
‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ টোপটি আর কতদিন গিলতে হবে?
রাষ্ট্র কেন এইসব সহ্য করবে? কেন বাড়তে দেবে ধর্মান্ধ অপশক্তিকে? রাষ্ট্রের ক্ষমতা তো সবচেয়ে বেশি। কাজেই সরকার ও রাষ্ট্র যখন ভেদবুদ্ধির বলি হয়, তখন সেটাকেই অন্যায় সহ্য করা বলে।
সেই ঈদগুলোতে আনন্দ ছিল, চাকচিক্য ছিল না
আমরা যখন স্কুলে পড়ি, সেই ৭০/৮০ দশকে, তখন ঠিক ঈদের আগের রাতে কলোনির শিশু-কিশোররা একটা মিছিল বের করতাম, আর বাঁশি বাজাতে বাজাতে কলোনি প্রদক্ষিণ করতাম। শ্লোগান দিতাম, ‘কাল ঈদ, কাল ঈদ’।
গরুর মাংসের ঘরোয়া রান্না
১৯৭৫ থেকে ৮০ এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত শবেবরাতের দিন এলেই আমাদের আসাদগেট নিউকলোনিতে সকাল থেকে একটা হুল্লোড় পড়ে যেত। হালুয়া, রুটির জন্য এই হুল্লোড় নয়, এটা ছিল গরুর মাংস ভাগাভাগি করার একটা আয়োজন।...
‘শিক্ষা হত্যা হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই নিহত হন’
‘শিক্ষা হত্যা হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই নিহত হন। কেউ মরে, কেউ মেরে।’ আমার শিক্ষিকা অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীনের এই ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ লাইনটি সারাদিন ধরে মনে গেঁথে আছে। সত্যিইতো আমরা নানাভাবে...
বিপন্ন মানুষ ও আদার ব্যাপারীর জাহাজের খোঁজ নেওয়া
শুক্রবার সকালে ঘুমটা ভেঙেই সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের টাকা বৃদ্ধি সংক্রান্ত যে খবরটা প্রথমে চোখে পড়েছে, সেটা আমাদের অর্থাৎ বাংলাদেশের জন্য ভালো না মন্দ, তাই মেলানোর চেষ্টা করছিলাম। যদিও আমার মতো...
আমাদের নেতারা কেন ‘স্বীয় জিহ্বা শাসনে’ রাখতে পারেন না?
দেশে এখন ২টি বিষয় লাগাম ছাড়া অবস্থায় আছে। একটি দ্রব্যমূল্য, অপরটি ২ মন্ত্রী মহোদয়সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মুখের বাণী।
‘তেলা মাথায় ঢালো তেল, শুকনো মাথায় ভাঙো বেল’
আমার দাদা একজন আইনজীবী ছিলেন। কলকাতায় কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলায় নিজ গ্রামে এসে বাস করা শুরু করেছিলেন। বাসায় তদারকির অনেক লোক থাকা সত্ত্বেও দাদা নিজ হাতেই বাড়ির বাগান,...