সম্প্রতি কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তারেক রহমানের ‘বিলাসী জীবন’ এবং তার কাছে দলীয় নেতাকর্মীরা ‘চাঁদার টাকা পাঠান’—এরকম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই ছবিগুলো দিয়ে তার সাধারণ জীবন-যাপনের বিষয়টি সামনে...
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সব জায়গায় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা মিলে যে দুর্নীতির দুষ্টচক্র গড়ে উঠেছিল, সেই চক্র তো ভাঙেইনি, বরং কোথাও কোথাও এই চক্র আরও শক্তিশালী হয়েছে।
প্রশ্ন হলো, এবারের চিরুনি অভিযানে কারা বেশি আতঙ্কিত? তারচেয়ে বড় প্রশ্ন, ডেভিল হান্ট কি ব্যর্থ হয়েছে? যদি না হয় তাহলে এখন চিরুনি অভিযানের কথা বলা হচ্ছে কেন? ডেভিল হান্টে যদি সত্যিই ডেভিলদের ধরা হতো,...
সঠিক নির্বাচন হলে কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হবে, সে বিষয়ে কিছু ধারণা করা গেলেও সবসময় সব ধারণা সত্যি নাও হতে পারে।
জনগণকে সচেতন করেই যদি পৃথিবীতে মব বা অপরাধ থামানো যেত, তাহলে আর পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগের প্রয়োজন হতো না।
‘দেশের মানুষ কোনো একটি দলকে সত্যিই যদি ৯০ শতাংশ আসনে বিজয়ী করে, তাহলে তার পক্ষে স্বৈরাচার না হয়ে উপায় থাকবে না। কেননা, যখনই কোনো একটি দল এত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তখন বিরোধী দল বলে কিছু থাকে না।’
বিচার ও সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন যেমন দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখার সুযোগ নেই, তেমনি শুধুমাত্র একটি দলের পরে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় এনে পুরোনো পদ্ধতির চক্রে দেশকে ঠেলে দেওয়াটাও কোনো কাজের কথা নয়।
নির্বাচন ও এসএসসি—দুটি বড় পরীক্ষা এক মাসে আয়োজন করা যাবে কি না, সেটি বিরাট প্রশ্ন।
সরকার স্বীকার করুক বা না করুক, ৫ আগস্টের পর অপরাধ-প্রবণতা বেড়েছে। প্রতিনিয়তই গণমাধ্যমে খবর আসছে। পুলিশ এখনো পুরোপুরি ফাংশন করছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
১৯৭১ সালের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও শহীদের তালিকা প্রণয়নে বিলম্ব করা যাবে না এটি যেমন ঠিক, তেমনি তাড়াহুড়া করলেও ভুলভ্রান্তি থেকে যেতে পারে। এই ধরনের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়ায়...
আরাকান আর্মির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরোধ পুরনো। সুতরাং পুরো রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলে সেখানে রোহিঙ্গারা আরও সংকটে পড়বে এবং সেখানেও হয়তো তাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
সরকার যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে চায়, তাহলে তার আগেই পঞ্চদশ সংশোধনী এবং একইসঙ্গে ত্রয়োদশ সংশোধনীর রিভিউ নিষ্পত্তি করতে হবে।
আওয়ামী লীগের আমলে একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে তার বাবার হত্যায় ন্যায়বিচার পাবেন না বলে যে মন্তব্য করলেন, সেখানে ‘বিটুইন দ্য লাইন’ অনেক কথা আছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা বোঝার জন্য এটিও একটি সূত্র।
‘৭০ অনুচ্ছেদ আরও সহজ এবং তুলনামূলক গণতান্ত্রিক করলেও যে সংসদে এমপিরা নিজের দলের বিপক্ষে যায় এমন বিষয়ে কথা বলবেন—তার সম্ভাবনা কম।’
‘মূলত আমাদের পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাই যে আমলানির্ভর, ইসি আইনে তার প্রতিফলন স্পষ্ট। যারা সারা জীবন সরকারের নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, অবসরে গিয়ে মোটা অংকের পেনশন পেয়েছেন আবার সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে...
গণতান্ত্রিক সমাজে অ্যাবসোলিউট স্বাধীনতা বলে কিছু নেই।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া সেই মানুষগুলোকেই সুচিকিৎসার দাবিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পথ আটকাতে হলো!
‘কিন্তু বাস্তবতা হলো, যে দলের জনভিত্তি আছে, বিপুল ভোট ও জনসমর্থন আছে—তাদেরকে নির্মূল করা যায় না। রাষ্ট্রের সব অস্ত্র প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে ওই দলকে দাবিয়ে রাখা গেলেও তার শেকড় উপড়ে ফেলা যায় না।’