অস্বীকার করার সুযোগ নেই, সংবিধানে এই যে ১৭ বার সংশোধন আনা হলো, তার অনেকগুলোই আনা হয়েছে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি ও দলের রাজনৈতিক স্বার্থে এবং সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মৌলিক অধিকারও সংকুচিত হয়েছে।
ভবিষ্যতে ‘২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর’ বাংলাদেশের সংবিধান ও বিচার বিভাগের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন হিসেবে হয়তো উল্লিখিত হবে।
মনে রাখতে হবে, অনেকগুলো যুক্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানসস্বলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করা হয়েছিল। সুতরাং এই ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হলে আরও শক্ত ও জোরালো যুক্তি লাগবে এবং সেই যুক্তিতে...
এই সময়ের বাংলাদেশে সংবিধানের যেসব অনুচ্ছেদ নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক ও সমালোচনা হয়, তার অন্যতম সংসদ সদস্যদের পদ বাতিলসম্পর্কিত ৭০ অনুচ্ছেদ। এটি এমন এক বিধান যা সংসদ সদস্যদের বাকস্বাধীনতা হরণ করে এবং...
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেভাবে ফেসবুকে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়ে স্ট্যাটাস বা কমেন্টের কারণে অসংখ্য মানুষ এর ভিকটিম হয়েছেন, তেমনি দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করেও যেভাবে সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার...
অস্বীকার করা যাবে না, সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের পরে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে দফায় দফায় নির্দেশনা ও ঘোষণার পরেও ‘মব জাস্টিসের’ নামে মানুষ খুন...
সবশেষ দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে নানাবিধ সমালোচনা হচ্ছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কীভাবে দুজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন...
বাংলাদেশের মানুষ মূলত গণতন্ত্রকামী। অধিকাংশ মানুষই একনায়কতন্ত্র যেমন চায় না, তেমনি কট্টরপন্থাও চায় না।
বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠনের পরপর ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে আরও একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
যদি কোনো শিক্ষক নৈতিক আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে এই ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত
হাফিজ কার্জন উপন্যাসের নাম দিয়েছেন ‘অর্ধেক উপন্যাস’। কেন? সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার ভার পাঠকের ওপর।
জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদেরও যেসব যুক্তি আছে, সেগুলোও আমলে নেওয়া জরুরি।
ক্ষমতায় থাকার জন্য সব বিরোধী পক্ষকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া বা প্রান্তিক করে দেওয়ার বদলে এমন একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলা দরকার, যেখানে সরকার তার কাজের ব্যাপারে বিরোধীদের তরফে সমালোচনা শুনতে পারে।
শেষদিকে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিতে চাকরি হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের একটা হাহাকার ছিল মনে।
কোনো একটি ঘটনা ঘটলেই সেটি নিয়ে এত বেশি এবং এত ডাইমেনশনে কথাবার্তা হয় যে, আদালতে বিচারের আগেই জনপরিসরে বিচার হয়ে যায়। যেকোনো অপরাধে ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে এটিও একটি বড় সমস্যা।
একসঙ্গে সব প্রতিষ্ঠানকে শত ভাগ দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কোনো সরকারের পক্ষেই সম্ভব নয়—সেই সরকার যতই শক্তিশালী হোক। কিন্তু সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হয়, এরকম অন্তত একটি...
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দীর্ঘস্থায়ী কিংবা চিরস্থায়ী অথবা ক্রমবর্ধিষ্ণু দূরত্বের খেলায় শুধু রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাই নন, জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া যে বাহিনীর প্রধান কাজ— এক অর্থে তারাও ভিকটিম হয়ে যাচ্ছে।
যেকোনো সেবার মূল্য বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরুর আগে দেখতে হবে নাগরিকরা নিরবচ্ছন্নভাবে ওই সেবাটি পাচ্ছে কি না। যদি না পায় তাহলে আগে তার সেবাটি নিশ্চিত করতে হবে।