খ্যাতিমান প্রাবন্ধিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাবিদ ড. মাহবুবুল হক মারা গেছেন ২৫ জুলাই। ‘বাংলা বানানের নিয়ম’ লেখা মানুষটি নিরবে-নিভৃতে ব্যক্তির জীবনাচারণের নিয়মও লিখে গেছেন ব্যক্তির রোজনামচায়।
সত্যিই কি আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যে মোচড়হীন কবি? এই নিয়ে রয়েছে আমাদের প্রশ্ন ও অস্বস্তি।
বাংলা একাডেমি কি ময়ুখ চৌধুরীর মতো কবিকে সম্মান না জানিয়ে জসীমউদ্দীন, আবু হেনা মোস্তফা কামালের সারিতে উনার নামটাও রাখবে?
কয়েকজনের সঙ্গে আলাপে এমন প্রসঙ্গ হাজির হয়েছে, সেসব আরও একটু বিস্তৃত হওয়ার প্রত্যাশা রাখে।
‘মেমসাহেব’ কি লেখকের আত্মজৈবনিক উপন্যাস? হবে হয়তো। সকল লেখায় নাকি লেখকের আত্মজৈবনিক লেখা, সত্যিই কি তাই?
একজন সৃজনশীল মানুষ কর্ম দিয়ে দেশ, জাতি ও পৃথিবীর জন্য যা কিছু করে যান, তা কোনোভাবেই মূল্য দিয়ে পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এ কারণে কেবল তাদেরকে পুরস্কৃত করলেই হবে না, রাষ্ট্রকে পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি...
কালো টাকার মালিকদের ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত, তা কি নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য? তা কি কোনোভাবে যৌক্তিক ও সুবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত বলে মেনে নেওয়া যায়?
যা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদায় স্বীকৃত ও বিশ্বজুড়ে বন্দিত। দেশের এই শক্তি-অনন্য বৈশিষ্ট্য আমরা জাহানারা ইমামের মধ্যেও প্রবলভাবে দেখতে পাই।
যারা এমপি হতে চান, তাদের প্রতি কোনো বিদ্বেষ নেই। কেবল এটুকু বলা যে, রাজনীতিবিদরা, ব্যতিক্রমী উদাহরণ বাদে, যেকোনো পেশাজীবীর চেয়ে জনগণকে ভালো বোঝেন, জনগণের চাওয়া-পাওয়াটা আমলে নেন। এ কারণে রাজনীতিটা...
সমাজের ভেতরে যদি ওরকম কোন তরঙ্গ না দেখা দেয় তা হলে, বায়ান্নোর ভাষার আন্দোলন এভাবে কি সর্বপ্লাবি হয়ে উঠতো? নাজমুল করিমের সমাজ অনুসন্ধানকে বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে ভ্রান্তির অবকাশ নিশ্চিতভাবেই ঠুনকো...
বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হয়নি। ন্যায্যতা ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ সম্ভব হয়নি। নিজের কাছে ফিরতে হলে দেশ ও জাতিকে যে নির্মাণ ও...
অমর্ত্য সেনের জন্মদিন ছিল গত শুক্রবার, ৩ নভেম্বর। যে ক’জন বাঙালি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতি ও সম্মানের অধিকারী হয়েছেন, তিনি তাদের অন্যতম। যখন দেশে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দৃশ্যত এক অচলাবস্থার...
সৈয়দ আবুল মকসুদের পথ চেনা সহজ হবে, উনার পক্ষপাতটা বোঝার মধ্যে দিয়ে। হ্যাঁ উনি পক্ষপাতী ছিলেন, এতে কোন প্রকার ঢাকঢাক গুড়গুড় ছিল না। এ ব্যাপারে দ্ব্যার্থহীন ও স্পষ্টবাদী ছিলেন।
কবিতা যে চেনা জীবনের ছকের বাইরের কিছু সেটা জীবনানন্দ প্রবন্ধে যেমন পরিস্কার করে যুক্তি-তর্ক দিয়ে পরিষ্কার করেছেন, তেমনি তার কবিতাতেও সেই অচেনা-অজানাকে কিছু ধরেছেন-ধরার চেষ্টায় ব্রতী থেকেছেন।
সুলতানের জীবন যেন পক্ষিসদৃশ, মন যেন পাখির মতো। ডানাও ছিল হয়তো, আমরা পায়নি দেখতে। সব পাখি যেমন নীড়ে ফেরে। সুলতানও ফিরেছিলেন স্বগৃহে, ডারউইন যেমন ফিরেছিলেন
যখন কবির দরবারে হাজির হই ঘড়ির কাঁটা মধ্যাহ্নে। কবি থাকেন রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় একটি হোটেলে। সেখানেই দীর্ঘদিনের আবাসন-ঘর-সংসার একাকী জীবন এবং কবিতাযাপন।
এই রাষ্ট্র কবে বুঝবে রাধাপদর ওপর আঘাত কেবল একজন ব্যক্তিকে অবমাননা বা আঘাত নয়, এ আঘাত রাষ্ট্রের হৃদয়ের ওপর, বাঙালিত্ব ও বাঙালি সংস্কৃতির ওপর।
সৈয়দ হকের বিশাল সৃজনসম্ভারকে আমরা অবলোকন-বিশ্লেষণ-ব্যাখ্যা করলে তো বটেই, তার এই সিগনেচার রাইটিংসের আলোকে আমরা বলতে পারি, তিনি ছিলেন সব্যসাচী এক গল্পকার।