পুলিশের হাতে পা রেখে ফেরিতে উঠলেন ২ নারী!

ফেরি ছেড়ে দিচ্ছে, দৌড়ে আসছেন দুই নারী। এক পা কোনো রকমে কিছু একটার উপর রেখে ঝুলতে থাকলেন। হাত দিয়ে একটি রড ধরে থাকলেও আরেক পা রাখার কোনো জায়গা পাচ্ছেন না। ফেরি ছাড়ার হর্ন বাজছে। ফেরি ছাড়লে ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। সেই দৃশ্য দেখে দৌড় এগিয়ে গেলেন একজন পুলিশ সদস্য। নিজের হাতের ওপর সেই নারীর পা রাখার ব্যবস্থা করে দিলেন। পুলিশ সদস্যের হাতে পা রেখে কোনোক্রমে ফেরিতে উঠলেন সেই নারী। এভাবেই ফেরিতে উঠলেন আরও এক নারী। ফেরি ছেড়ে গেল। হয়ত বেঁচে গেল দুটি প্রাণ।
টার্মিনালের খুঁটিতে এক পা রেখে ঝুঁকি নিয়ে এক নারীকে ফেরিতে উঠার চেষ্টা করতে দেখে অন্য পায়ের নিচে হাত রেখে তাকে উঠতে সহায়তা করেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. মিরাজ হোসেন। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

ফেরি ছেড়ে দিচ্ছে, দৌড়ে আসছেন দুই নারী। এক পা কোনো রকমে একটা খুঁটির উপর রেখে ঝুলতে থাকলেন। হাত দিয়ে একটি রড ধরে থাকলেও আরেক পা রাখার কোনো জায়গা পাচ্ছেন না। ফেরি ছাড়ার হর্ন বাজছে। ফেরি ছাড়লে ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। সেই দৃশ্য দেখে দৌড় এগিয়ে গেলেন একজন পুলিশ সদস্য। নিজের হাতের ওপর সেই নারীর পা রাখার ব্যবস্থা করে দিলেন। পুলিশ সদস্যের হাতে পা রেখে কোনোক্রমে ফেরিতে উঠলেন সেই নারী। এভাবেই ফেরিতে উঠলেন আরও এক নারী। ফেরি ছেড়ে গেল। হয়ত বেঁচে গেল দুটি প্রাণ।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

আজ দুপুর আড়াইটার দিকে শিমুলিয়া ঘাটের দুই নম্বর টার্মিনালে শাহ পরাণ ফেরিতে এই ঘটনা ঘটে। ঝুঁকিতে থাকা দুই যাত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ওই পুলিশ সদস্য।

দুই যাত্রীকে ফেরিতে তুলে দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মো. মিরাজ হোসেন হাসিমুখে বললেন, তারা আমার আত্মীয় বা পরিচিত কেউ নন। দেখলাম তারা ফেরিতে উঠতে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন। আমি দৌড়ে গিয়ে তাদের পায়ের নিচে আমার হাত রেখে তুলে দিয়েছি। তারা যেভাবে উঠতে যাচ্ছিলেন যেকোনো সময় ফেরি থেকে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।

ফেরির এক যাত্রী রিফাত হোসেন জানান, টার্মিনাল থেকে ফেরি ছাড়ার তখন কয়েক সেকেন্ড বাকি। ফেরির ঢাকনাও তুলে দেওয়া হয়ে গেছে। দুই নারী যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তখন ওঠার চেষ্টা করছিলেন। এক পুলিশ সদস্য তাদেরকে সহায়তা করেছেন।

Comments