৪ বছর পর রেলের ৫ হাজার কোটি টাকার ২ প্রকল্পে ‘কিছুটা গতি’

ফাইল ছবি

অভ্যন্তরীণ ও আন্তদেশীয় রেল যোগাযোগ বাড়াতে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআর) রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য ৫ হাজার ১৮৭ কোটি টাকার ২টি প্রকল্প হাতে নেয়।

যদিও প্রকল্প শেষ হওয়ার সময়সীমার আর ৭ মাস বাকি, তবুও ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) সঙ্গে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পগুলোর কাজগুলো এখনো শুরুই হয়নি। অর্থাৎ ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে থেমে আছে প্রকল্প ২টির কাজ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প দুটি হচ্ছে—১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে 'পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটারগেজ রেলওয়ে লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর' এবং ৩ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে 'বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনা-দর্শনা জংশন সেকশনে ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ' প্রকল্প।

এত সময় পরে এসে প্রকল্প ২টির সম্ভাব্যতা যাচাই, বিস্তারিত নকশা তৈরি ও অন্যান্য কাজ করার জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগ দিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২০ এপ্রিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ভারতীয় কনসালটেন্ট ফার্মগুলোকে নিযুক্ত করার জন্য ক্রয়ের প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে এবং প্রকল্প কর্তৃপক্ষ গত ১৭ মে সংশ্লিষ্ট ফার্মগুলোর জন্য নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম জোন) মনিরুল ফিরোজ গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে কনসালটেন্টদের সঙ্গে চুক্তি সই করে কাজ শুরু করতে পারব।'

তবে, রেলওয়ে সূত্র বলছে, এক মাসের মধ্যে প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজ শুরু হলেও ভৌত কাজ শুরু করতে আরও সময় লাগবে এবং প্রকল্পটির সময়সীমা আরও ২ বা ৩ বছর জন্য বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে বাড়বে খরচও।

ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) ও গ্রেন্টের সঙ্গে বর্তমানে ৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই প্রকল্পের সবগুলোই নির্ধারিত সময়সীমার চেয়ে বেশ পিছিয়ে।

প্রকল্পের বিলিং সহজ করতে গত বুধবার ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন সেখানে সফররত রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

রেলওয়ের নথির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তারা সরকার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ভারত, চীন, জাপান ও কোরিয়ার যৌথ অর্থায়নে ১ লাখ ৪২ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার ৪০টি প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে ২৬টি প্রকল্প সংশোধন করতে হয়েছে। যার মধ্যে ১৯টিই হয়েছে গত অর্থবছরে। মূলত জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা, তহবিলের অপ্রাপ্যতা, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব, দুর্বলভাবে সম্পন্ন সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রকল্পগুলো সংশোধন করতে হয়েছে।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Running behind schedule

Comments

The Daily Star  | English

Customs flags hurdles at 3rd terminal of Dhaka airport

Customs House Dhaka said it has found more than a dozen issues related to infrastructure, security, and operational readiness of the new terminal

12h ago