৩ দফা দাবিতে বেনাপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদারকে প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবিতে ধর্মঘট চলছে বেনাপোল স্থলবন্দরে।

আজ বুধবার সকাল থেকে এই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি।

এর আগে গতকাল দুপুরে এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মো. মামুন কবীর তরফদারকে প্রত্যাহার, বেনাপোল স্থলবন্দরের ইক্যুইপমেন্ট সরবরাহ বৃদ্ধিসহ দক্ষ চালক নিয়োগ এবং বন্দরে পর্যাপ্ত শেড ও জায়গা বৃদ্ধিসহ যানজট মুক্ত রাখা।

ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বলেন, 'বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। এই বন্দর থেকে সরকার প্রতি বছর ৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। বেনাপোল বন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন ফর্কলিফট না থাকায় পণ্য লোড-আনলোড ব্যহত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই।'

তিনি আরও বলেন, 'বন্দর কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্বেও তারা কোনো উদ্দ্যগ নিচ্ছে না। ফলে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে পন্য খালাশ প্রক্রিয়া।'

সংগঠনটি জানায়, উপপরিচালক মামুন কবীর বন্দরের টেন্ডারসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে তার আত্মীয়-স্বজনদের সুবিধা দিচ্ছেন। তিনি বেনাপোল বন্দরকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছেন। গত ৭ বছর ধরে তিনি একই পদে একই স্থানে চাকরি করছেন। তাকে প্রত্যাহার করা হলে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।

আজিম উদ্দিন গাজী বলেন, 'তাকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি লাগাতার চালিয়ে যাবো। বন্দর ব্যবহারকারী ৫টি সংগঠনই আমাদের সঙ্গে আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ৩ দফা দাবি আদায় না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত  ধর্মঘট চলবে।'

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

1h ago