শিহাব হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জড়িতদের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাবের মৃত্যুর ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, 'প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা আন্দোলন স্থগিত করে ঘরে ফিরে গিয়েছিলাম, কিন্তু ঘটনার পর ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও তদন্তে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেননি তারা।'

তারা আরও বলেন, 'আমরা জানতে চাই শিহাব হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের পর কেন শিহাবের পরিবারকে থানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আটক করার পরও কেন আসামিদের ছেড়ে দেওয়া হলো।'

এ ছাড়াও, শিহাবের মৃত্যুর ঘটনকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য যারা বা যেসব মহল পায়তারা করেছে এবং প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

শিহাবের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন বলেন, 'আমি একজন সাধারণ মানুষ। প্রবাসে পরিশ্রম করে রোজগার করা টাকায় ভাল লেখাপড়ার আশায় সন্তানকে তাদের কাছে পড়তে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিনিময়ে আমি আমার সন্তানের লাশ পেয়েছি।' 

জানতে চাইলে শিহাব হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং টাঙ্গাইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামি রিমান্ডে পুলিশকে যেসব তথ্য দিয়েছেন সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ঘটনার রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।'

গত ২০ জুন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বেরবাড়ি গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের পুত্র শিহাবকে (১১) সৃষ্টি স্কুলের ছাত্রাবাসে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে, স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি শিহাব ছাত্রাবাসের বাথরুমে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে, শিহাবের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা।

ওই ঘটনার ছয়দিন পর গত ২৭ জুন শিহাবের মা আসমা আক্তার বাদী হয়ে আবু বক্করসহ সৃষ্টি স্কুলের ৬ আবাসিক শিক্ষককে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর পুলিশ গ্রেপ্তার শিক্ষক আবু বক্করকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।

Comments

The Daily Star  | English

Students, teachers declare 'shutdown' at JnU

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

1h ago