পুলিশের মামলার পর ভোলায় গ্রেপ্তার আতঙ্ক, বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হয়নি

ভোলা
আহতদের মধ্যে ৩৪ জনকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ভোলায় বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ ২টি মামলা করার পর থেকে ভোলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৯ জন সরকারি কাজে বাধাদান মামলার আসামি। হত্যা মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কাজল জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর গত ২ দিন ধরে ভোলায় বিএনপি অফিস তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে।

স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, অধিকাংশ নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভোলার বিভিন্ন সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের কারণে শহর জুড়ে আতঙ্ক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ভোলায় বিএনপির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়নি।

জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে কেউ বাসায় অবস্থান করতে পারছে না। পদধারী প্রায় সবার নাম মামলায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার আতঙ্কে আমরা কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। তবে বাদ আছর দলীয় কার্যালয়ে নিহত আবদুর রহিম স্মরণে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।'

'আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে পুলিশ। আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি,' যোগ করেন তিনি।

দেশজুড়ে লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলায় বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গত রোববার স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় সদস্য সচিব আবদুর রহিম নিহত হন এবং পুলিশসহ অন্তত ৬০ জন আহত হন।

এ ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক মো. জসিমউদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় ২টি মামলা করেন।

সরকারি কাজে বাধাদান মামলায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া, হত্যা মামলায় অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ আসামি রয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

17h ago