১ মাসের মধ্যে ধসে যাচ্ছে তিস্তার ভাঙন রোধে ফেলা জিও ব্যাগ

ছবি: স্টার

তিস্তা নদীর ভাঙনরোধে লালমনিরহাটের খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের পূর্ব কালমাটি গ্রামে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হলেও মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ধসে যেতে শুরু করেছে। এতে ভাঙন আতঙ্কে আছে নদী পাড়ের মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালুভর্তি ব্যাগগুলো ফেলার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও অব্যাবস্থাপনার কারণে মাত্র এক মাসের মাথায় সেগুলো ধসে যেতে শুরু করেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জিও ব্যাগগুলোতে যে পরিমাণে বালু ভর্তি করার কথা ছিল তার চেয়ে কম বালু ভর্তি করে এলোমেলোভাবে ডাম্পিং করা হয়েছে। এ কারণে কয়েক দিনের মধ্যে জিও ব্যাগগুলো নদীতে ধসে যাচ্ছে।  

পূর্ব কালমাটি গ্রামের কৃষক মোন্নাফ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'যে পরিমাণ ব্যাগ ফেলার কথা ছিল তার চেয়ে কম ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ফলে তীব্র স্রোতের কারণে সেগুলো নদীতে ধসে যেতে শুরু করেছে।'

তিনি বলেন, 'নদী ভাঙনের কারণে আমার বসতভিটা, আবাদি জমি তিস্তার পেটে চলে গেছে। নদীপাড়ে একখণ্ড জমিতে বসতভিটা করে বসবাস করছি। জিও ব্যাগ ধসে যাওয়ায় আবারও ভাঙন আতঙ্কে আছি।'

একই গ্রামের রূপালী বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আপাতত ভাঙন বন্ধ রয়েছে কিন্তু পানি বাড়লে আবারও ভাঙন দেখা দিতে পারে। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলতে সরকার অনেক টাকা খরচ করলেও সঠিকভাবে কাজ হয়নি। বালুভর্তি জিও ব্যাগগুলো ধসে যেতে শুরু করায় আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি।'

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) আব্দুল কাদের দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সাড়ে ৫ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। আপাতত ওই গ্রামে তিস্তার ভাঙন রোধ করা হয়েছে।'   

তবে, লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন,'পূর্ব কালমাটি গ্রামে তিস্তার ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ এখনো শেষ হয়নি। পানি বেড়ে যাওয়ায় কিছু জিও ব্যাগ ধসে গেছে। এসব স্থানে আবারও জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে। জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে অস্থায়ীভাবে ভাঙনরোধ করা হয়।' এ ছাড়া স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English

Agri budget not enough to ensure food security: experts

The government has proposed a 3.55 percent rise in the budget allocation for agriculture, food, livestock and fisheries in the next fiscal year, setting aside Tk 39,620 crore..But agro-economists say the increase is far from sufficient to ensure the country’s long-term food security..<p

29m ago