চাঁদা না দেওয়ায় অটোরিকশায় আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাঙ্গামাটিতে চাঁদা না দেওয়ায় একটি অনটেস্ট সিএনজিচালিত অটোরিকশা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

আজ শুক্রবার রাঙ্গামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের জীবতলী ইউনিয়নের আগরবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই সড়কে সিএনজিচালিত আটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন চালকরা।

অটোরিকশাটির চালক মো. কামাল হোসেন ও পুলিশ জানায়, আজ সকাল ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে রাঙ্গামাটি শহর থেকে কাপ্তাই উপজেলার নতুন বাজারে যাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের অগর বাগান এলাকায় পৌঁছলে ৪ থেকে ৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত অটোরিকশার গতিরোধ করে।

এ সময় চালকের কাছে তারা 'বাৎসরিক চাঁদার টোকেন' চায়। না পেয়ে দুর্বৃত্তরা অটোরিকশা থেকে যাত্রীদের বের করে দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে  গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এ ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির ইঞ্জিন রক্ষা পেলেও বাকি অংশটুকু আগুনে পুড়ে গেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে সিএনজিচালিত আটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন চালকরা।

রাঙ্গামাটি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, 'এ সড়কে দীর্ঘ দিন ধরে একটি সন্ত্রাসী দল চাঁদা দাবি করে আসছিল। কিছু দিন আগেও দুর্বৃত্তরা ইউনিয়নের ৪ থেকে ৫টি  অটোরিকশা জিম্মি করে রেখেছিল। আগুনে অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ওই সড়কে সিএনজি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জরুরি বৈঠকে বসেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের নিরাপত্তা ও আগুনে পুড়ে যাওয়া অটোরিকশার চালককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হলে কয়েক দিনের হরতাল কিংবা অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে।'

রাঙ্গামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, 'খবর পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য অটোরিকশাটি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ এখনও অভিযোগ করতে থানায় আসেননি।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago