‘ব্যক্তি স্বাধীনতা’ ও ‘সাংসারিক চাপে’ই কি বিয়েতে অনাগ্রহী তরুণ সমাজ

ব্যাংককে একটি ট্রেনিং সেশনে আমাদের কোঅর্ডিনেটরের বয়স ছিল প্রায় ৪০ ছুঁই ছুঁই। প্রথম দিনের আইসব্রেকিং ক্লাসে পরিচয় পর্বে কিম জানালেন, তিনি অবিবাহিত, কারণ তার বিয়েই হচ্ছে না।

থাই মেয়েরা বিয়ের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। সেই ১২ বছর আগে থেকেই থাই মেয়েরা বিয়ে পরবর্তী ঝামেলাপূর্ণ জীবনের চেয়ে একা থাকা উপভোগ করতে শুরু করেছিল বলেই হয়তো কিম বিয়ে করতে চাইলেও পাত্রী পাচ্ছিলেন না।

এতগুলো বছর পরে খবর দেখলাম, জাপানে রেকর্ডসংখ্যক তরুণ-তরুণী জানিয়েছেন, তারা বিয়ে করবেন না। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। ২০২২ সালের ওই সমীক্ষায় বিয়েতে অনীহা প্রকাশকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ। মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

কেন বিয়েতে অনীহা তাদের? উত্তরে বলেছেন, তারা নিজেদের 'সিঙ্গেল' জীবন উপভোগ করতে চান, 'ব্যক্তি স্বাধীনতা'য় ছাড় দিতে চান না এবং পেশাগত জীবনে উন্নতি করতে চান। জাপানের ওয়ার্কোহলিক তরুণ-তরুণীরা বিয়ে করে সংসার করার চেয়েও নিজেদের পেশাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

শুধু কি জাপানেই বিয়ের প্রতি অনীহা? বিশ্বের অনেক দেশেই তরুণ-তরুণীরা বিয়েকেন্দ্রিক সাংসারিক চাপ ও দায়িত্ব সামলাতে অনাগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাশাপাশি মানিয়ে চলা ও পরস্পরকে বোঝার ক্ষেত্রে ধৈর্য্যও কমে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিয়ের প্রতি আগ্রহ কমছে এবং বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই কেন তালাক হয়ে যাচ্ছে?

বাংলাদেশের মতো সমাজে বিয়ে মানে শুধু স্বামী-স্ত্রী নয়, বিয়ে মানে একটি পরিবার, একটি বন্ধন। সেই পরিবারে আরও অনেকে থাকতে পারেন। সেই অনেকের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়, নানাজনের নানা মত বুঝে চলতে হয়। অথচ বিয়ের পর প্রায় সব ছেলে-মেয়েই চায় নিজের মতো থাকতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের মতো সমাজ ব্যবস্থায় তা হয়ে ওঠে না। তখনই তৈরি হতে থাকে ভুল বোঝাবুঝি এবং ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে।

বিয়ে পরবর্তী দায়িত্ব, নিয়ম-কানুন, কিছু সমঝোতা ও শেয়ারিংকে এখন অনেক ছেলে-মেয়েই ঝামেলা মনে করে। তারা এতটাই ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হয়ে উঠেছে যে বিবাহিত জীবনের ছাড় দেওয়া তাদের কাছে অপছন্দের।

বর্তমানে এশীয় দেশগুলোতে নারী-পুরুষের কাজের গণ্ডি বেড়েছে, বেড়েছে ব্যস্ততা ও দায়িত্ব। ঘরের দায়িত্ব ও বাইরের কাজের দায়িত্ব দুটোই বেড়েছে সমানতালে।

কেন আমাদের সমাজে বিচ্ছেদ বাড়ছে? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে বা তাদেরই লেখা পড়ে। এই প্রজন্ম কোনো কিছু গোপন করতে বা মানিয়ে চলতে পছন্দ করে না। তারা মনে করে, চাপ, অবিশ্বাস ও ট্রমার মধ্য দিয়ে যাওয়ার চেয়ে আলাদা হয়ে যাওয়া ভালো।

তরুণ-তরুণীদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, পরিবার ও সমাজের দিকে তাকিয়ে একটা মৃত সম্পর্কের গোড়ায় পানি ঢালাটা ভুল। কারো যদি অর্থনৈতিক সচ্ছলতা থাকে, তাহলে তার এমন সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ। যদি নাও থাকে, তবু এমন সম্পর্ক থেকে বের হয়ে অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়া ভালো। এতে নাকি অনেক ভালো থাকা যায়।

বয়োজ্যেষ্ঠরা মনে করেন, সন্তান 'ভেঙে পড়া সম্পর্ক'কে জোড়া লাগাতে পারে। কিন্তু এখনকার প্রজন্ম মনে করে সন্তানকে চাপের মধ্যে রাখা ঠিক না। শিশু যদি দেখে, বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়া, ভুল বোঝাবুঝি, মারামারি বা শীতল সম্পর্ক চলছে, তা সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অনেক তরুণ-তরুণীই মনে করেন, জীবন চালানোর জন্য যখন স্বাধীনতা, অর্থ, সাহস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে, তখন আর শুধু শুধু কেন দায়িত্বের মধ্যে জড়ানো? শুধু শারীরিক ও মানসিক সমর্থনের জন্য সংসার পাতার কোনো মানে হয় না। জীবনসঙ্গীর মতামত নিয়ে জীবন চালানোর ব্যাপারটা ক্রমশ চাপ মনে করছেন আধুনিক তরুণ-তরুণীরা এবং তারা নিজের জগত নিয়েই সুখে থাকতে চাইছেন। সম্পর্কের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে অনেকেই খোলা মনে বেঁচে থাকাটাই ভালো মনে করছেন, যদিও তা খুব কঠিন পথ।

গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেছেন, ১৫ থেকে ২০ বছর আগে আমরা উন্নত দেশগুলোতে যা দেখেছি, সেই অবস্থা এখন বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই ব্যবস্থা খুবই অপরিচিত। কারণ বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় বিধান মতে বিয়েটা জীবন চালনার পূর্বশর্ত। পশ্চিমা বিশ্বে বরাবরই বিয়েটা পরের ধাপ। তারা নানা দিক ভেবে, জীবনসাথীকে পরখ করে তারপর বিয়ে করে। কিন্তু এশীয় সমাজে বিয়েটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। অথচ এই এশীয় সমাজেই এখন বিয়ে না করার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। জাপান, চীন, থাইল্যান্ড, ভারত, ইরান, সৌদি আরবসহ বাংলাদেশেও বিয়ের প্রতি অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

চীনে তরুণ প্রজন্ম বিয়েতে আগ্রহ হারাচ্ছে। তরুণীরা আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ব্যাপারে বেশি উৎসাহী। তারা বিয়েটাকে অনেক ক্ষেত্রে বোঝা মনে করছেন এবং নির্ভার থাকতেই বেশি পছন্দ করছেন। তারা বিয়েটাকে অতিরিক্ত দায়বদ্ধতা মনে করছেন। এমনকি স্বাধীনতা কমে যাওয়ার শঙ্কা থেকেও তারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। এক দিকে বিয়ের হার যেমন কমছে, অন্যদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বাড়ছে।

সমাজ মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, বন্ধু, পরিচিত মানুষ ও স্বজনদের মধ্যে বিচ্ছেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা অথবা প্রতিদিন ডিভোর্সের খবর, স্বামী-স্ত্রীর ভুল বোঝাবুঝি, অবিশ্বাস, এমনকি হত্যা-আত্মহত্যার খবরগুলো তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে। ব্যক্তির মধ্যে আচরণগত একটা অস্থিরতা বা ক্ষত তৈরি হয়, যা তাকে নেতিবাচকতার দিকে তাড়িত করে।

তবে একজনের জীবনের খারাপ অভিজ্ঞতাই যে সবার ক্ষেত্রে ঘটবে, তা কিন্তু নয়। একজনের তিক্ত অভিজ্ঞতা অন্যজনের জীবনে নাও ঘটতে পারে। বিভিন্ন সমাজে সুখী বিবাহিত জীবনও অনেক আছে। কিন্তু তরুণ সমাজের একটা অংশ মনে করে, এই ভালো সম্পর্কও অনেকটাই লোক দেখানো। আদতে সবাই স্বাধীনতা নিয়ে থাকতেই ভালবাসে।

শুধু শহর নয়, গ্রামেও বিয়ে নামের প্রতিষ্ঠানটা দুর্বল হয়ে পড়ছে। গ্রামে ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শহরেও সমাজের চাপে, নিরাপত্তার প্রয়োজন, দায়মুক্তি বা দারিদ্রের কষাঘাতে মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে, বেড়েছে বাল্যবিয়ে।

২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত শুধু সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ৮৮টি বিয়ে বন্ধ করেছে। এরমধ্যে ৬৫টি বিয়ে পরে হয়ে গেছে গোপনে।

এই জোর করে বা গোপনে বিয়ে দেওয়াকেই আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলছে 'আধুনিক দাসত্ব'। তাদের এক প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের শেষের দিকেই বিশ্বজুড়ে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছেন।

মনোবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মানুষ যদি একবার কোনো দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব ছাড়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে তার বিয়ের আগ্রহ স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে। বিয়ের অনাগ্রহটা নতুন প্রজন্মের জন্য হুমকিস্বরূপ। জাপানে বিয়ের প্রতি আগ্রহ কমেছে, এই সংবাদে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশ্লেষকেরা।

জাপান সরকার অবশ্য বিয়েতে তরুণদের আগ্রহী করে তুলতে ইতোমধ্যে সপ্তাহে ৩ দিন কাজ ও ৪ দিন ছুটি নিতে উৎসাহিত করছে। নারী, বিশেষ করে মায়েদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে। সন্তান নিলে সরকারিভাবে প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে।

তরুণ-তরুণীদের এই 'বিয়ে ভীতি'র হার বাড়ছে। সেটা কি শুধু দায়িত্ব এড়ানোর জন্য, স্বাধীন জীবনযাপনের জন্য? নাকি সংসার ভাঙনের ভয় থেকে? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বিয়ের ভয়কে 'গ্যামোফোবিয়া' বলা হয়। গ্রীক ভাষায় 'গ্যামো' মানে বিয়ে, 'ফোবিয়া' মানে ভয়।

গ্যামোফোবিয়া হলো বিয়ে কিংবা কোনো ধরণের স্থায়ী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ভয়। গ্যামোফোবিয়ায় আক্রান্তদের কাছে বিয়েকে সরল জীবনযাপনের প্রতি হুমকি মনে হয়। এ ছাড়া, সম্পূর্ণ নতুন একটি মানুষের সঙ্গে বসবাস ও তার পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলার বিষয়টিকেও তারা সহজভাবে নিতে পারেন না।

মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, সাধারণত এই মানসিক অবস্থা নির্ভর করে পরিবেশ, পরিস্থিতি ও বড় হয়ে ওঠার উপর। সম্পর্ক নিয়ে আগের খারাপ অভিজ্ঞতা বা মা-বাবা কিংবা ভাই-বোন, কাছের বন্ধু, সহকর্মীদের বৈবাহিক অশান্তিও মনে এই ভয়ের সৃষ্টি করতে পারে।

শুধু আধুনিক দেশেই বিয়ে ছাড়া একসঙ্গে থাকার সংখ্যা বাড়ছে, তা নয়। সৌদি আরবে ক্রমেই চুক্তিভিত্তিক বিয়ের সংখ্যা বেড়েছে। শর্তহীন এই বিয়ে সৌদি সমাজে 'মিসইয়ার' নামে পরিচিত। তবে এই বিয়ে নিয়ে চিন্তিত সৌদির ধর্মীয় ব্যক্তিরা। তাদের অভিযোগ, মিসইয়ারের মাধ্যমে আদতে উচ্ছৃঙ্খলতাকেই বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। এর জন্যে বিশেষ 'ম্যাচ-মেকিং' সাইট বা গ্রুপও আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।

বিয়ে ছাড়া একসঙ্গে থাকাকে ইরানে বলা হয় 'হোয়াইট ম্যারেজ' বা সাদা বিয়ে। ইরানি সমাজেও নারী-পুরুষের একসঙ্গে থাকা অবৈধ। কিন্তু তারপরও দেশটিতে এই সাদা বিয়ে চলছে। এটা ক্রমান্বয়ে সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হচ্ছে বলে ইরানের প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে।

ইরানে বিয়ে ও বিচ্ছেদ খুবই ব্যয়বহুল এবং ছেলেদেরই এসব ব্যয় বহন করতে হয় বলে এই হোয়াইট ম্যারেজের দিকে ঝুঁকে পড়ছে তরুণরা। ইরানে অনেক যুগলই হঠাৎ করে বিয়ে করতে চান না, যার কারণ দেশটির ক্রমবর্ধমান বিবাহবিচ্ছেদের হার।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এভাবে একসঙ্গে থাকায় নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঝুঁকি আছে। তারপরও কিছু নারীর কাছে এই পদ্ধতি পুরুষতান্ত্রিক প্রচলিত বিবাহ-ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার একটা উপায়।

বাংলাদেশে খুব অল্প সংখ্যায় হলেও গত এক দশকে বিয়ে ছাড়াই একসঙ্গে থাকার প্রচলন শুরু হয়েছে। শুধু উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারে নয়, সমাজের নিম্নবিত্ত পরিবারেও এর চল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ বিয়ে ছাড়া ছেলে-মেয়ের একসঙ্গে থাকার পক্ষে না। কিন্তু তারপরেও বিশ্বায়ন ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের সম্পর্ক ধীরে হলেও বাড়ছে বলে সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে রাষ্ট্র মানুষকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেয়। বিশেষ করে প্রবীণ বয়সে রাষ্ট্র নাগরিকের দায়িত্ব গ্রহণ করে, চিকিৎসা সুবিধা দেয়, কেয়ারগিভার দেয়। কিন্তু আমাদের মতো দেশে তা নেই। এখানে 'পরিবার'ই এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা মানুষের পাশে থাকে, মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু এই পরিবার প্রথা দুর্বল হয়ে পড়ছে নানা কারণে। একে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন 'ভালবাসা' ও 'বিশ্বাস'। একমাত্র ভালবাসা দিয়েই এই বিরূপ পরিস্থিতির মধ্য থেকে মানুষ বেরিয়ে আসতে পারে।

শাহানা হুদা রঞ্জনা, সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

Life insurers mired in irregularities

One-fourth of the life insurance firms in the country are plagued with financial irregularities and mismanagement that have put the entire industry in danger.

7h ago