এনআইডির দায়িত্ব যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

জাতীয় পরিচয়পত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র। ছবি: সংগৃহীত

২০০৬ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি ও সরবরাহের কাজ ছিল নির্বাচন কমিশনের। তবে এখন এই দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিতে যাচ্ছে সরকার।

গতকাল সোমবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২২ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'প্রাথমিকভাবে এনআইডির শুধু নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। পরে অন্যান্য সেবা পেতে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়।'

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, 'এনআইডির ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য সেবা দেওয়া হয় বলে এটি এখন ইসির পরিবর্তে সরকারের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে।'

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, 'এনআইডি নিবন্ধন এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিভাগটি পাসপোর্টের কাজ করে।'

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুরক্ষা সেবা বিভাগ বিলটি উত্থাপন করে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিদ্যমান আইনে ৩২টি ধারা আছে। তবে প্রস্তাবিত খসড়ায় কয়েকটি বাদ পড়েছে।

তিনি বলেন, 'প্রত্যেক নাগরিককে একটি স্বতন্ত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এনআইডির কাজ সুরক্ষা সেবা বিভাগে গেলে, জন্মের সময় প্রতিটি শিশুকে নতুন আইডি নম্বর দেওয়া হবে এবং এটিই তাদের এনআইডি নম্বর হবে।'

তবে শিশু জন্মের সময় পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু করতে আরও ২-৩ বছর লাগতে পারে বলে জানান তিনি।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'এনআইডি দেওয়ার জন্য নবজাতকের আঙুলের ছাপ ও আইরিস স্ক্যান করা হবে এবং সেগুলো সময়ে সময়ে আপডেট করা হবে।'

গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ বিভাগকে খসড়াটি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে কিছু ধারা যুক্ত করে আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে বলেছে মন্ত্রিপরিষদ।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'ভোটার আইডি কার্ড তৈরির জন্য ইসি সুরক্ষা সেবা বিভাগের এনআইডি ব্যবহার করতে পারে অথবা নিজস্ব মেকানিজম তৈরি করতে পারে।'

'সুরক্ষা সেবা বিভাগের এনআইডি ডেটা ব্যবহারে সিস্টেমের মধ্যে কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংযোগ থাকবে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত হবে না। শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটি সংস্থা ডেটাতে অ্যাক্সেস পাবে।'

বর্তমানে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং জন্ম ও মৃত্যু সনদ দিয়ে থাকে।

এনআইডির কাজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে কী হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এর সমাধান খুঁজবেন।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago