৫৭ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
সারা দেশে ৫৭ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে।
পরে, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও ৩১ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিরোধীদের মোকাবিলা করছেন।
বিরোধীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জাতীয় পার্টির ও কয়েকটি ছোট দলের প্রার্থী রয়েছেন। তবে তাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। কেননা, অধিকাংশ ভোটার ক্ষমতাসীন দলের সদস্য।
রাজশাহী
রাজশাহীতে একজন চেয়ারম্যান, ৩ সংরক্ষিত নারী সদস্য ও ৯ সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার ৫১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৭ ও সাধারণ সদস্য পদে ৩০ জন রয়েছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন—মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান আখতার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল ও আফজাল হোসেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও ৯ উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা এই নির্বাচনের ভোটার। তাদের মোট সংখ্যা এক হাজার ১৮৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯০৬ ও নারী ভোটার ২৭৯ জন।
খুলনা
খুলনায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন। মোট প্রার্থী ৪৫ জন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসেবে ৩ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৪ জন এবং ৯ সাধারণ পদের জন্য লড়ছেন ২৮ প্রার্থী।
তারা হলেন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ। তার প্রতীক মোটর সাইকেল।
এ ছাড়াও, রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়াসংগঠক এসএম মোর্তোজা রশিদী দারা, প্রতীক চশমা ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) জেলা সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম প্রতীক আনারস।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯ উপজেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন ছাড়াও ৯ ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪৩ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলার ১০০ ইউনিয়ন, ৯ উপজেলা ও ৫ পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৬ জন।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৯ উপজেলায় ৩৬২ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও, প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ
জেলার ৫ কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন ৫ উপজেলার ৬১০ স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি৷ জেলা সদরে ২ ও ৩ উপজেলায় ৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে৷
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি চন্দন শীল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়াও, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ২ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ ৩ সাধারণ সদস্য পদ ও ২ সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোটগ্রহণ চলছে। ৫ পদের জন্য লড়ছেন ১৯ প্রার্থী।
কুমিল্লা
কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৭ উপজেলার মধ্যে ১৫টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চেয়ারম্যান ও ৬ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় মাঠে লড়ছেন ৬৬ প্রার্থী।
জেলার ১৫ উপজেলায় মোট ৬৬ সদস্য ও সংরক্ষিত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান ও ৬ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী সদস্যরা হলেন ৩ নং ওয়ার্ডে (দাউদকান্দি) উত্তর জেলা যুবলীগের সদস্য নাসিম ইউসুফ, ৯ নং ওয়ার্ডে (আদর্শ সদর) কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ এবং ১২ নং ওয়ার্ডে (মনোহরগঞ্জ) মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।
এ ছাড়াও, সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৩ নং ওয়ার্ডে (লাকসাম) লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান মজুমদার, ১৬ নং ওয়ার্ডে (সদর দক্ষিণ) সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, সংরক্ষিত ৫ নং ওয়ার্ডে (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও লালমাই) মনোহরগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি তানজিনা আক্তার।
ময়মনসিংহ
জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী, ১৩ ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ প্রার্থী ও ৫ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য পদে ১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে একটি সিটি করপোরেশন, ১০ পৌরসভা ও ১৪৫ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ হাজার ৮৯ জন। তাদের মধ্যে নারী ৪৯১ জন।
২ সাধারণ সদস্য ও একজন সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলার ১৩ কেন্দ্রে ইভিএম এ ভোট গ্রহণ চলছে। রয়েছে সিসি ক্যামেরাও। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ পুলিশ সদস্য, ৪ আনসার সদস্য, এক ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি কাজ করছে মোবাইল টিম।
ঝিনাইদহ
এ জেলার ৬ উপজেলায় মোট ভোটার ৯৫৪ জন। তাদের মধ্যে ৭২৯ জন পুরুষ ও ২২৫ জন নারী। ৬ ভোটকেন্দ্রে তারা ভোট দিচ্ছেন।
ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল ছালেক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ২ প্রার্থী, সাধারণ সদস্য পদে ২২ পুরুষ ও সংরক্ষিত আসনে নারী সদস্য ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতি কেন্দ্রে ১০ পুলিশ, ৩ মোবাইল টিম মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি টিমে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৭ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়াও, র্যাবের ভ্রাম্যমাণ টহলসহ ১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
Comments