শাহরুখপুত্রের মামলার তদন্তে ‘অনিয়ম’ ছিল

আরিয়ান খান। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের ক্রুজ মাদক মামলার তদন্তে বেশ কিছু 'অনিয়ম' ছিল বলে ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে দেখা গেছে। ওই প্রতিবেদনে সংস্থাটির ৭-৮ জন কর্মকর্তার 'সন্দেহজনক আচরণ' চিহ্নিত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার এনসিবি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মামলায় ৩ সপ্তাহেরও বেশি সময় জেলে কাটাতে হয় আরিয়ানকে। যদিও গ্রেপ্তারের ৮ মাস পর তাকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তখন এনসিবি স্বীকার করেছিল, তারা আরিয়ান এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে 'পর্যাপ্ত প্রমাণ' খুঁজে পায়নি।

এনসিবির কর্মকর্তারা আজ জানিয়েছেন, আরিয়ান খানের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে এনসিবির কর্মকর্তাদের অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে এনসিবি কর্তৃক গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল বা এসআইটি তাদের ভিজিল্যান্স রিপোর্ট দিল্লিতে সদর দপ্তরে পাঠিয়েছে।

একটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, তদন্তে দেখা গেছে এ মামলায় অনেক অনিয়ম হয়েছে। তদন্তে জড়িত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তদন্তের অংশ হিসেবে ৬৫ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। কেউ কেউ ৩-৪ বার তাদের বক্তব্য পরিবর্তন করেন। তদন্তে আরও কিছু মামলার তদন্তে ত্রুটি-বিচ্যুতির তথ্য উন্মোচিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

তবে সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, চাঁদা দাবির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়নি।

একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেছেন, এই মামলায় এনসিবির ৭-৮ জন কর্মকর্তার ভূমিকা সন্দেহজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এনসিবির বাইরে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

গত অক্টোবরে মুম্বাইয়ের কাছে একটি ক্রুজ জাহাজ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ২০ জনের মধ্যে আরিয়ান খানও ছিলেন এবং গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজনের কাছ থেকে মাদক পাওয়া যায় বলে দাবি করেছিল এনসিবি।

পরে একই বছরের নভেম্বরে এনসিবি সদর দপ্তর সমীর ওয়াংখেড়েকে সরিয়ে দেয়। পরে মামলাটি মুম্বাই থেকে দিল্লিভিত্তিক একটি তদন্ত দলের কাছে স্থানান্তরিত করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Chattogram port Imports

Reducing penalty on false declarations will encourage smuggling: experts

In the Finance Ordinance 2025–26, presented on Monday, the government proposed amending the Customs Act 2023 and revising the penalty structure for tax evasion related to intentional false declarations during import clearance, reducing the minimum fine from twice the evaded amount to an equivale

1h ago