রুশ হামলার পর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন কিয়েভের ৪০ শতাংশ ভবন

বিদ্যুৎ-পানি না থাকায় কিয়েভের একটি এলাকার বাসিন্দারা সোমবার একটি পাম্প থেকে পানি সংগ্রহ করছেন। ছবি: রয়টার্স

সোমবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রায় ৪০ শতাংশ আবাসিক ভবনের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ আছে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকোর বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

মেয়র বলেন, 'কিয়েভের প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। রাজধানীর ৪০ শতাংশ বাড়িতে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না।'

সোমবার ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে আরেক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। 

হামলায় কিয়েভ ও অন্যান্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

মেয়র ক্লিটসকো বলেন, 'শহরের পূর্বাংশের পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে এবং রাজধানীর ডান (পশ্চিম) অংশ স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।'

'বিদ্যুৎ প্রকৌশলীরা রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা করছেন,' যোগ করেন তিনি।

'পরিস্থিতি বেশ কঠিন' উল্লেখ করে মেয়র জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু হওয়ার পরও, লোডশেডিং চলবে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার ছোড়া ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৪৪টি তারা ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। 

কিন্তু বাকিগুলোর আঘাতে কিয়েভের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

মস্কোর অভিযোগ, কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের ওপর ইউক্রেন ১৬টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষ এই হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেছে।

এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় করা শস্য চুক্তি স্থগিত করে রাশিয়া। তুরস্ক ও জাতিসংঘ এ চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিল। 

এই চুক্তিতে কৃষ্ণ সাগরের বন্দর ব্যবহার করে ইউক্রেনকে শস্য রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

রোববার কৃষ্ণ সাগরে সব ধরনের জাহাজের চলাচল বন্ধ ছিল।

শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে মস্কো সরে গেলেও সোমবার অন্তত ১২টি জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ত্যাগ করে। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ক্রেমলিন শস্য চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর রাশিয়া 'ইচ্ছাকৃতভাবে' খাদ্য সংকট তৈরি করছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, তিনি কৃষ্ণ সাগর শস্যচুক্তি অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর।

Comments

The Daily Star  | English

Students, teachers declare 'shutdown' at JnU

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

1h ago