রপ্তানিখাতে প্রধান পণ্য হয়ে উঠছে সোয়েটার

ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, চীন থেকে অর্ডার স্থানান্তর এবং ফ্যাশনে পরিবর্তনসহ বেশকিছু কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে অন্যতম প্রধান সোয়েটার প্রস্তুতকারী দেশ।

আগে পশ্চিমা ভোক্তারা শুধুমাত্র শীতকালে সোয়েটার ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন তারা ফ্যাশন হিসেবে সারা বছরই হালকা সোয়েটার ব্যবহার করেন।

এ ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন, মোটা সোয়েটারের চাহিদা কমে যাওয়া এবং হালকা সোয়েটারের ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে অনেক শীতপ্রধান দেশেও তাপমাত্রা বেড়েছে।

অফিসগামীরা নিয়মিত পোশাক হিসেবে হালকা সোয়েটার পণ্য ব্যবহার করেন।

উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোটা সোয়েটারের পরিবর্তে হালকা সোয়েটার পছন্দ করছেন।

এ ছাড়া, উৎপাদন প্রক্রিয়ার জটিলতা, উচ্চ উৎপাদন খরচ ও দক্ষ শ্রমিকের অভাবের কারণে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো সোয়েটার তৈরিতে আগ্রহী নয়।

ফ্যাশনে পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী সোয়েটারের চাহিদা বাড়ছে। হালকা সোয়েটারগুলো সব আবহাওয়াতেই ফ্যাশন আইটেমে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ হালকা সোয়েটারের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী এবং আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো এই পণ্যের জন্য অনেক বেশি অর্ডার দিচ্ছে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশ থেকে সোয়েটারের চালানের মাধ্যমে আয় বাড়ছে।

গত অর্থবছরে সোয়েটার রপ্তানি ৩৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সংকলিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি আয় ছিল ৪ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার।

২০২১-২২ অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানি খাতে আয় হয়েছে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, যার ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশই সোয়েটার থেকে এসেছে।

বিশ্বব্যাপী সোয়েটারের বাজার ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই বাজারে নিজেদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা নিজেদের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করছেন।

জ্যাকেটও তৈরি করছে দেশের বেশ কিছু কারখানা। আশা করা হচ্ছে যে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে সোয়েটার ও জ্যাকেট উত্পাদনে প্রধান কেন্দ্র হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English
sirens sound in israel after iran missile attack

Sirens sounded after missiles launched from Iran, says Israeli army

Trump to decide within two weeks on possible military involvement

15h ago