গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল ব্যবধানে জয়ী

গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট দিতে আহমেদাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ছবি: এএফপি
গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট দিতে আহমেদাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ছবি: এএফপি

ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে।

আজ শুক্রবার মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এই জয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির জন্য খুবই ইতিবাচক একটি বিষয় বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন।

৬ কোটি মানুষের রাজ্য গুজরাটের বিধানসভার মোট ১৮২ আসনের মধ্যে ১৫৬টি জিতেছে বিজেপি। এই রাজ্য দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও এবারের মতো এতো ভালো ফল এর আগে দলটি কখনোই অর্জন করতে পারেনি।

প্রধান বিরোধী দল ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ১৭ ও আম আদমি পার্টি (এএপি) ৫ আসন পায়।

২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রত্যাশা করছেন মোদি। তার জনপ্রিয়তার আগাম পরীক্ষা হিসেবে গুজরাটের এই নির্বাচনের দিকে সবাই নজর রাখছিলেন।

ফলাফল প্রকাশের পর গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদি এক টুইটার বার্তায় গুজরাটের জনগণকে ধন্যবাদ জানান এবং তিনি বলেন, ফলাফল দেখে 'আমি আবেগে ভারাক্রান্ত হয়েছি'।

গুজরাটের সুরেন্দ্রপুর জেলার একটি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স
গুজরাটের সুরেন্দ্রপুর জেলার একটি কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স

হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনে কংগ্রেস ৬৮ আসনের মধ্যে ৪০ আসনে জয়লাভ করে প্রাদেশিক সরকার গঠনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। সেখানে বিজেপি ২৫ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩ আসনে জয়লাভ করেন। ৬০ লাখ জনসংখ্যার এই রাজ্যেও বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়।

সমালোচকদের মতে মোদির নেতৃত্বে ভারতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ধর্মীয় সহনশীলতা কমে যাচ্ছে। তা সত্ত্বেও, তিনি দেশের সংখ্যাগুরু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

ভোটের আগে নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত প্রচারণায় মোদি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এই রাজ্যে বিজেপি প্রায় ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ১০ বছরেরও বেশি সময় তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। 

 

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago