মালয়েশিয়ার ভূমিধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪

কাদা ও ভেঙে পড়া দালানের ধ্বংস্তুপের মাঝে আটকে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে পেতে মাটি খোঁড়ার ভারী যন্ত্র ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করা হয়। ছবি: রয়টার্স
কাদা ও ভেঙে পড়া দালানের ধ্বংস্তুপের মাঝে আটকে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে পেতে মাটি খোঁড়ার ভারী যন্ত্র ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করা হয়। ছবি: রয়টার্স

মালয়েশিয়ার সেলাংগর রাজ্যের বাতাং কালিতে একটি ক্যাম্পসাইটে ভূমিধসের ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবারের এই দুর্ঘটনায় এখনো নিখোঁজ আছেন ৯ জন।

আজ রোববার দমকল ও উদ্ধার বিভাগের বরাত দিয়ে বার্তা রয়টার্স জানিয়েছে, উদ্ধার কার্যক্রমের তৃতীয় দিনে নতুন করে আর কাউকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই কম।

রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টার দিকে ক্যাম্পিং সুবিধাসম্পন্ন অরগ্যানিক খামার 'ফাদার্স অরগ্যানিক ফার্ম'র কাছাকাছি অবস্থিত পাহাড় থেকে ভূমিধসের উৎপত্তি হয়। রাজ্যের দমকল ও উদ্ধার বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

ভূমিধসে আক্রান্ত ৯৪ ব্যক্তির মধ্যে ৬১ জন নিরাপদে আছেন এবং ৯ জন এখনো নিখোঁজ। সেলাংগর রাজ্যের দমকল ও উদ্ধার বিভাগ জানায়, দুর্ঘটনায় ৭ শিশুর প্রাণহানি হয়েছে।

কাদা ও ভেঙে পড়া দালানের ধ্বংস্তুপের মাঝে আটকে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে পেতে মাটি খোঁড়ার ভারী যন্ত্র ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করা হয়। উদ্ধার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আশংকা, ভারি বৃষ্টির কারণে এই এলাকায় আবারও ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে।

সেলাংগর রাজ্যের দমকল ও উদ্ধার বিভাগের প্রধান নোরাজাম খামিস জানান, অক্সিজেনের অভাবে ও দুর্ঘটনাস্থলে ভারি কাদার স্তরের কারণে জীবিত অবস্থায় আর কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার ঘনমিটার ভূমি ধসে পড়েছে। প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতা থেকে এটি প্রায় ১ একর জায়গা জুড়ে ধসে পড়ে। 

মালয়েশিয়ায় ভূমিধস নিয়মিত ঘটনা হলেই এটি সাধারণত ভারি বর্ষণের পর হয়ে থাকে। দেশটিতে বন্যার প্রকোপও অনেক বেশি। গত বছর ৭ রাজ্যে মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ২১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
Kamal Hossain calls for protecting nation

Kamal Hossain urges vigilance against obstacles to nation-building effort

"The main goal of the freedom — gained through the great Liberation War — was to establish democracy, justice, human rights and build a society free from exploitation. But we have failed to achieve that in the last 54 years," says Dr Kamal

1h ago