নারায়ণগঞ্জ

'স্লোগান দেওয়া'কে কেন্দ্র করে আ. লীগের কর্মী সম্মেলনে কয়েক দফা সংঘর্ষ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলনে 'স্লোগান দেওয়া'কে কেন্দ্র করে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রোববার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে কর্মী সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধুরী, জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া এবং সাবেক চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলুর সমর্থরদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়।

সম্মেলনে উপস্থিত একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ডেইলি স্টারকে জানান, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন ও পৌরসভা পর্যায়ে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিকেলে জামপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করে জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ূন কবির ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সহসভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুমসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা৷

জানতে চাইলে হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া বলেন, 'সম্মেলনের শেষের দিকে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আবু জাফর চৌধুরী ও হামীম শিকদার শিপলুর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি হয়। তারা স্টেজের চেয়ার ও মঞ্চ ভাঙচুর করেন। এই ঘটনার জেরে শিপলুর সমর্থকদের একটি দল পাকুন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার ছেলে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, কর্মী শাওন ও তারেক আহত হয়। আমার ছেলে মাথায় ১৩টা সেলাই নিয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি।'

এদিকে হামীম শিকদার শিপলুর অভিযোগ, আবু জাফর চৌধুরীর লোকজন তার অনুসারী নেতা কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় তার ৪ জন কর্মী ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন এবং সবমিলিয়ে ৭ জন হামলায় আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবু জাফর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে আমার কোনো অনুসারী নেতা জড়িত নন। আমি জেলা পর্যায়ে রাজনীতি করি, ইউনিয়ন পর্যায়ে হস্তক্ষেপ করি না।'

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ বলেন, 'পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে উত্তেজিত নেতা কর্মীদের সরিয়ে দেয়। পরে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে খবর পেয়েছি। উভয়পক্ষ থেকেই অভিযোগ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

4h ago