আইএমএফ ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণদানে সম্মত হওয়ায় অর্থমন্ত্রীর সন্তুষ্টি

ঢাকায় আইএমএফের সফররত উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আজ রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহকে সব বাংলাদেশির পক্ষ থেকে স্বাগত জানান অর্থমন্ত্রী। 

পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন, 'স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে আমাদের সময় লাগে প্রায় ৩৮ বছর। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। আমাদের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছর ৩৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে আমরা ছিলাম ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতি।'

অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। এই ক্ষেত্রে আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সংকুলান নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বরাবরের মতো আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করি।'

বৈঠকে অর্থনীতির সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি এবং এর পাশাপাশি বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এসময় বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশসমূহের করণীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। 

চলমান সংকট মোকাবিলায় সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে ডিএমডি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সরকারের ইতোমধ্যে ঘোষিত ও মৌলিক সংস্কার কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রাখার জন্য তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। 

বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ অনুসারে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রদানে আইএমএফ প্রাথমিকভাবে সম্মত হওয়ায় অর্থমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। বিশেষ করে এ ঋণ প্রোগ্রামে সরকারের পক্ষ হতে প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যক্রমগুলোকে সমর্থন করায় তিনি আইএমএফকে ধন্যবাদ জানান।

এ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব জনাব শরিফা খান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

58m ago