নাটোরের লালপুর ও গুরুদাসপুর থেকে ২ মরদেহ উদ্ধার
নাটোরের লালপুর ও গুরুদাসপুর থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার ভোর ৫টার দিকে লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাদকয়া গ্রামের এক পুকুর থেকে ইনছার আলীর ছেলে কালাম হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ছাড়া আজ সকাল ৯টার দিকে গুরুদাসপুরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা মোড় এলাকা থেকে আবু সাঈদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের রাত দিয়ে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোনোয়ারুজ্জান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী আরজিনা খাতুনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রীকে মারধর করলে শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রীসহ আরও ৩ জন মিলে স্বামীকে কুপিয়ে জখম করে। পরে গ্রামের পুকুরে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে গ্রামবাসীরা থানায় খবর দিলে লালপুর থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
মোনোয়ারুজ্জান আরও জানান, কালাম হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ওহেদুজ্জামান সালাম ৪ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করে লালপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পরে পুলিশ এজাহারে উল্লেখ থাকা আল আমিনকে (১৬) গ্রেপ্তার করে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের গুরুদাসপুর উপজেলা অংশের কাছিকাটা মোড় এলাকা থেকে মরদেহটি দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের তৎপরতায় তাৎক্ষণিক মরদেহটির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার নাম আবু সাঈদ। তিনি বগুড়ার কাহালু উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের আবু জাফরের ছেলে।
তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ। ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
Comments