২ বছরে ৫০ গান করতে চাই: সংগীত শিল্পী মুহিন

সংগীত শিল্পী মুহিন। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ

ক্লোজআপ ওয়ান খ্যাত সংগীত শিল্পী মুহিন। ২০০৬ সালে ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্স-আপ হন। সেই থেকে নিয়মিত গান করে যাচ্ছেন। দেশ বিদেশে স্টেজ শো করেছেন প্রচুর। চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করছেন সমানতালে।

প্রথমবার পদ্মাপুরান সিনেমায় গান করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন মুহিন।

কেমন লাগছে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে?

অবশ্যই ভালো লাগছে। ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়, এমন আনন্দ হচ্ছে। এটি দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার। সেজন্য ভালো লাগাটা অনেক বেশি। এটা পাবার পর আমার গানের পথচলায় আলাদা গতি তৈরি হয়েছে। অন্যরকম গতি এসেছে। নতুন নতুন কাজের প্রতি ভালবাসা তৈরি হয়েছে।

আপনার পরিবারের সদস্যরা কীভাবে দেখছেন?

পুরস্কার ঘোষণার দিন আব্বা ঢাকায় ছিলেন। মা ছিলেন রাজশাহীতে। স্ত্রী সন্তান বাসায় ছিলেন। এককথায় সবাই দারুণ খুশি হয়েছেন। সবাই একটু শঙ্কায় ছিলেন কখন ঘোষণা হবে। প্রজ্ঞাপন জারি হবার পর আব্বা বলেছেন, ভালোই তো করছিস। বাবার এই কথা আমার জন্য অনেক দামি।

ক্লোজআপখ্যাত শিল্পীদের মধ্যে আপনিই প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন?

হ্যাঁ। আমি আসলে বিষয়টি ওইভাবে দেখছি না। আমরা সবাই বন্ধু। ক্লোজআপের ৪টি সিজন হয়েছে। সবার সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। কারো সঙ্গে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, দ্বন্দ্ব নেই। আমার বন্ধুরা অসম্ভব খুশি হয়েছেন। তারা প্রত্যেকে তাদের ওয়ালে খবরটি শেয়ার করেছেন। মন ভরে গেছে আমার। জাতীয় চলচ্চিত্র পাবার পর বন্ধুদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি বেশি।

শোনাতে এসেছি আজ পদ্মাপুরান গানটির জন্যই তো এত বড় সম্মান ঘরে এলো?

হ্যাঁ। এই গানটি লিখেছেন জামাল হোসেন। গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা আমার। সংগীত শিল্পী হিসেবে পেয়েছি। আর সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রাশিদ পলাশ। গানটি আমার ভীষণ প্রিয়।

চলতি সময়ের ব্যস্ততা?

গান নিয়েই আমার সবরকম ব্যস্ততা। নতুন নতুন গান করছি। স্টেজ শো করছি। ৫০টি গান মুক্তি দেওয়ার আছে। সেটা চলতি বছর এবং আগামী বছর মিলিয়ে। আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি দেব। ২ বছরে ৫০টি গান করতে চাই।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

1h ago