এবার ‘জেলে ভরো’ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে বললেন ইমরান খান

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ, ইমরান খান, পাকিস্তান,
ইমরান খান। রয়টার্স ফাইল ফটো

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খান তার কর্মী ও সমর্থকদের সারা দেশে 'জেলে ভরো' আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরী এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রাক্তন সদস্য শানদানা গুলজারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের প্রেক্ষাপটে ইমরান খান এ মন্তব্য করেছেন বলে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে ইমরান খান বলেন, তার দল দেশব্যাপী ধর্মঘটের পথ বেছে নিতে পারত, কিন্তু দেশের অর্থনীতি আরও খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কায় কারাগার ভরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের কাছে দুটি বিকল্প আছে- আমরা ধর্মঘট এবং বিক্ষোভে যেতে পারতাম। কিন্তু, অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ, তাই পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এজন্য আমি আমার সব কর্মী ও সমর্থকদের 'জেলে ভরো' আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দলের সদস্যদের ওপর যে সহিংসতা চালানো হচ্ছে, তাতে তার দল চুপ করে থাকবে না। ধ্বংসের পরিবর্তে আমরা এখন 'জেলে ভরো' আন্দোলনের প্রস্তুতি নেব। ভয় ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে তেহরিক-ই-ইনসাফকে দুর্বল করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

ইমরান খান দাবি করেন, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের নেতৃত্বাধীন সরকারের মতো তার দল তার শাসনামলে এমন নৃশংসতা কখনো করেনি। ফাওয়াদ চৌধুরীকে রাত তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শানদানা গুলজার এমন কী করেছিলেন? আদালত শেখ রশিদকে জামিন দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়ের করা হচ্ছে। যারা সরকার পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, 'আমদানি করা সরকার' আসার পর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত আছে। শাহবাজ গিলকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তার উদাহরণ আগে নেই।

নিজের ওপর হামলার প্রসঙ্গে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও এফআইআর নথিভুক্ত করতে পারেননি। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে ৬০টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

আকাশছোঁয়া ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্য পিডিএম সরকারের সমালোচনা করে ইমরান খান বলেন, ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে যখন পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আসে, তখন ডলারের দাম ছিল ১৭৮ টাকা। এক সপ্তাহের মধ্যে ডলারের দাম ৫০ টাকা বেড়ে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

14h ago