হালান্ডের টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক

ছবি: টুইটার

চারদিনের মধ্যে টানা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন আর্লিং হালান্ড। তার অর্জনের ম্যাচে জোড়া গোল করলেন হুলিয়ান আলভারেজ। এতে বার্নলিকে গুঁড়িয়ে এফএ কাপের সেমিফাইনালে উঠল ম্যানচেস্টার সিটি।

শনিবার রাতে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে ঘরের মাঠে ৬-০ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারীদের আরেক গোলদাতা হলেন বদলি নামা কোল পালমার।

সবশেষ গ্রীষ্মকালীন দলবদলে সিটিতে যোগ দেওয়া হালান্ড চলতি মৌসুমে ৩৭তম ম্যাচে ষষ্ঠ হ্যাটট্রিকের স্বাদ নেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২২ বছর বয়সী এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের গোল সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২। আগের ম্যাচে গত মঙ্গলবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে একাই পাঁচ গোল করেন তিনি।

বল দখলে এগিয়ে থাকা স্বাগতিকরা গোলমুখে নেয় ২০টি শট। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১০টি। অন্যদিকে, সফরকারীদের ছয়টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে।

ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব বার্নলির কোচের দায়িত্বে আছেন ভিনসেন্ট কোম্পানি। তিনি ম্যান সিটির সাবেক অধিনায়ক। তবে হালান্ড আরেক দফা জ্বলে ওঠায় কোম্পানির ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ফেরার অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি।

প্রথমার্ধে প্রথম গোল পাওয়ার জন্য সিটিকে অপেক্ষা করতে হয় ৩২তম মিনিট পর্যন্ত। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার আলভারেজের রক্ষণচেরা পাসে ডি-বক্সে ঢুকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের শরীরের নিচ দিয়ে বল জালে পাঠান হালান্ড।

মাত্র ১৭৯ সেকেন্ডের ব্যবধানে ফের গোলের উল্লাস করেন হালান্ড। বাঁ পায়ের শটে তিনি করেন লক্ষ্যভেদ। বামপ্রান্ত থেকে ছয় গজের তাকে বলের যোগান দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন।

২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যাওয়া ম্যান সিটি দ্বিতীয়ার্ধে বার্নলির জালে আরও চারবার বল পাঠায়। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে হালান্ড পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। ফোডেনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসার পর আলগা বলে নিশানা ভেদ করেন তিনি।

তিন মিনিট পর গোলের দেখা পান আলভারেজ। রিয়াদ মাহরেজের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন কেভিন ডি ব্রুইনা। তিনি গোলমুখে বিপজ্জনক জায়গায় বাড়ান পাস। বাকিটা অনায়াসে সারেন আলভারেজ।

৬৮তম মিনিটে ফোডেনের শট ফিরিয়ে দেন বার্নলির গোলরক্ষক বেইলি পিকক-ফ্যারেল। কিন্তু পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন তিনি। বল পেয়ে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার পালমার।

পাঁচ মিনিট পর ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আলভারেজ। মাঝমাঠ থেকে ডি ব্রুইনার উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। সঙ্গে লেগে থেকে ডিফেন্ডারকে পায়ের কারিকুরিতে ছিটকে দেন। এরপর বাঁ পায়ের জোরালো শটে পরাস্ত করেন পিকক-ফ্যারেলকে।

Comments